বিশেষ ফজিলতের আমল :
কোন এক মজলিসে রসুলে পাক (সঃ) সাহাবাদের উদ্দেশ্য করে এরশাদ করেছেন তোমরা প্রত্যেক দিন কে হজ্ব সম্পন্ন করতে পারবে অথবা এক খতম কোরান শরীফ পাঠ করতে পারবে, অথবা জেহাদে সামীল হতে পারবে অথবা জান্নাতের মূল্য আদায় করতে পারবে, অথবা চার হাজার দিনার ছদকা দিতে পারবে এবং উভয়ের বিবাদ মিটাতে পারবে। সাহাবাগণ উত্তর দিলেন উহা কিভাবে সম্ভব? তখন হযরত নিম্নলিখিত আমল করতে সাহাবাগণকে আদেশ দিলেন। যথা :-
১। কালেমা তামজীদ চার বার পড়ে ঘুমালে এক হজ্বের ছওয়াব হাসিল হয়। ‘‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওালা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালাহাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম’’। অথবা ‘“লাইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাকিমুল কারিম” একশতবার পাঠ করলেও অনুরূপ ছওয়াব লাভ হয়।
গুগল ক্রোমের নতুন ফিচার
মোবাইল এর ক্ষতিকর দিক
এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয়
২। সূরা এখলাছ তিন বার পাঠ করে ঘুমাইলে এক খতম কোরান পাঠের ছওয়াব পাওয়া যায়।
৩। “সুবহানাল্লাহ” দশ বার পাঠ করে ঘুমালে এক জেহাদের ছওয়াব লাভ করা যায়।
৪। তিনবার দরূদ শরীফ পড়ে ঘুমালে জান্নাতের মূল্য আদায় করা হয়।
৫। সুরা ফাতেহা চার বার পড়ে ঘুমালে চার হাজার দিনারের ছদকা করার ছওয়াব আমল নামায় লিখা হয়।
৬। দশ বার এস্তেগফার পড়ে ঘুমালে উভয়ের মাঝে বিবাদ মিটানোর ছওয়াব লাভ করা যায়।
সাইয়েদুল ইস্তেগফারঃ
ইহা একটি বুজগীপূর্ণ আমল। ইহা গোনাহ মাফেরও শ্রেষ্ঠ দোয়া বলে বর্ণিত রয়েছে। এই আমল দ্বারা রুজি-রোজগার বৃদ্ধি পায়, অভাব-অনটন ও বিপদ-আপদ দূর হয় এবং মনে শান্তি লাভ করা যায়।
‘‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লাআনতা খালাকতানি ওয়া আনা আবদিকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাছতাতাতো ও আউ-জুবিকা মিন শাররি মা ছানাতি আউয়ুযু লাকা বিনিয়মাতিকা আলাইয়া ওয়া আউয়ুযু বিজাম্বি ফাগ ফিরলি ফা ইন্নাহু লাইয়াগফিরুজুনুবা ইল্লা আনতা।
কর্জ পরিশোধ এবং উপার্জন বৃদ্ধির আমলঃ
নিম্নের বর্ণিত আয়াতসমূহ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর, শয়নকালে এবং সকালে বিকালে সাত বার করে পাঠ করতে থাকলে আল্লাহর ফজলে দরিদ্রতা দূর হবে, আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে, এবং ঋণ পরিশোধ করা সহজ হয়ে যাবে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ইহা একটি পরীক্ষিত আমলও বটে।
‘কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মান তাশাও ওয়্যাতানযিউল মুলকা মিম্মান তা”শাও, ওয়াতুইজ্জ মান তা’শাও ওয়াতু জিল্লু মান তা’শাউ বিইয়াদিকাল খায়ির, ইন্নাকা আল্লা কুল্লি শাইয়িন কাদির। তুলিজুল্লাইলা ফিন্নাহারি ও তুলিজুন্নাহারাফিল্লাইলি ওয়া তুখরিজল হাইয়া মিনাল মাইয়াতি ওয়াতুখরিজুলমাইয়্যিতা মিনাল হাইয়ি ওয়াতার যুকু মান তাশায়ু বিগায়রি হিসাব।
ইসলামে নামাযের গুরুত্ব
তালাকের মাসাআলা
বিপদ দূর হবার আমলঃ
“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা ইন্দাকা আহতাছিবু মুছিবাতি ফা আজিরনি ফীহা ওয়া আবদিলনি মিনহা খায়রা” কোন মুছিবতের সময় বর্ণিত দোয়া পাঠ করলে মুছিবত দূর হয় এবং মনে শাস্তি লাভ করা যায়।
গোনাহ মাফের আশ্চর্য দোয়াঃ
রসুলে আব্রাম (সঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি নিম্নের এই দোয়া (এস্তেগফার) খাছ নিয়তে দৈনিক পাঁচশত বার পাঠ করবে, তার সমস্ত গোনাহ মাফ করবার জন্য কেয়ামতের দিন তিনি সে ব্যক্তির জামিন হবেন। এই দোয়া রীতিমত পড়ার আমল করতে পারলে দীন-দুনিয়ার মঙ্গল লাভ হয়, রুজি-রোজগার বৃদ্ধি পায় ও অভাব অনটন দূর হয়।
‘‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাউয়ুম ওয়াতুবু এলাইহি ওলা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়িল আজিম।”
সকাল সন্ধ্যা পাঠের আমল
১। যে কোন ব্যক্তি নিম্নের দোয়াটি সকালে এবং সন্ধ্যায় তিনবার করে পড়বে আল্লাহ পাক শেষ বিচারের দিন তাকে রাজি ও সন্তুষ্ট করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। কবরে ছওয়াল জবাবের উত্তর ও ইহা দ্বারাই দিতে হয়। ইহা খুবেই ছোট, সহজ এবং অতি মূল্যবান ‘‘রাদিতুবিল্লাহি রাব্বান্ ও বিল ইসলামি দীনান্ তিন বিমুহামইদন্ নাবিয়্যান ছালিল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লিম।”
২। প্রত্যহ সকালে এবং সন্ধ্যায় নিম্নের দোয়া তিন বার করে পাঠ করলে কেহ কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না, বিপদ-আপদ দূর হয় এবং আল্লাহ স্বয়ং তার রক্ষক হবেন। সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত কোন বিপদ তাকে স্পর্শ করতে পারে না বলে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। ‘‘বিছমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াছমিহি শাইউন ফিল আরদি ওলা ফিচ্ছামায়ি ওয়া হুয়াচ্ছামিউল আলিম।”
৩। শয়ন কালে অযুর সাথে বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” বলতে বলতে বালিশে মাথা রেখে তিন বার “আল্লাহুম্মা বিইছমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া” পড়ে শুলে রাত্রিতে নিরাপদে থাকা যায় এবং ঘুম এবাদত এর মধ্যে গণ্য হয়। এঁকুশ বার বিছমিল্লাহ পড়ে শুলেও নিরাপদে থাকা যায়।
৪। যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে সুরা ফাতেহা তিন বার ও সুরা এখলাছ তিন বার ও সুরা কাফেরুন এক বার পাঠ করবে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং তাকে বেহেস্ত দাখিল করা হবে বলে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।
৫। “হাছবি আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাককুল মুবিন মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহি ছুয়াদিকুল ওয়াদিল আমিন” ঘুমানোর পূর্বে তিন বার পাঠ করলে, যাবতীয় বিপদ-আপদ ও অসুখ-বিসুখ হতে রক্ষা পাওয়া যায়, মান-সম্মান বৃদ্ধি হয় এবং উত্তম কার্য লাভ করা যায়।
৬। যে ব্যক্তি রাত্রে শুইবার সময় “আস্তাগ ফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইয়ুম’’ তিন বার পাঠ করবে তার পাপ বৃক্ষের পাতার মত অগণিত হলেও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং পাঠকারী রাত্রে নিরাপদে থাকা যায়।ছুরা জুমআর নয়-দশ আয়াতঃ নিম্ন বর্ণিত আয়াত গুলো প্রত্যহ পাঠ করলে সকল কাজে বেশী বেশী লাভবান হওয়া যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ উন্নতি হয় এবং সুখে শান্তিতে থাকা যায়। তার জীবন নিরাপদ হয়।
যথা :- আইউহাল্লাজিনা আমানু ইজা নুদিলিচ্ছালাতি মিওয়াওমিল জুমুআতি ইয়া ফাসাও ইলা জিকবিল্লাহি ওয়া যারুল বাইয়া যালিকুম খাইরুল্লাকুম ইনকুনতুম তা’লামুন। ফাইজা কুদিয়াতিচ্ছালাতু ফানতাশিরু ফীল আরদি ওয়াবাতাগু মিন ফাদলিল্লাহি ওয়াজ কুরুল্লাহা কাছিরাল্লায়াল্লাকুম তুফলিহুন। নবী-রাসূলগণ এবং আল্লাহর অলিদের খাছ দোয়া।
১। হযরত আদম (আঃ) এর দোয়া—রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাছিরিন। (গোনাহ মাফের জেন্য)
২। হযরত নুহ (আঃ) এর—দোয়া—বিছমিল্লাহে মাজরিহা ওয়া মুরছাহা ইন্না রাব্বি লা-গাফুরর রাহিম। (যানবাহনে আরোহনের জন্য)
৩। হযরত ইউনুস (আঃ) এর—দোয়া—লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জুয়ালিমিন। (বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য)।
৪। হযরত আইয়ুব (আঃ ) এর দোয়া—রাব্বাহু আন্নি মাস্সানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিন। (রোগ মুক্তির জন্য)
৫। হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর—দোয়া—“ফাল্লাহু খায়রুন হাফিযুন ওয়া হুয়া আরহামুর রাহিমিন” (সব কাজের জন্য আল্লাহতায়ালাই উত্তম রক্ষক নিরাপত্তার জন্য।)
৬। হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর—দোয়া—এলাহি আবদোকা বিফানায়িকা ফাকিরিাকা বিফানায়িকা, ছায়িলিাকা বিফানায়িকা, মিছকিনিািকা বিফনায়িকা। (দারিদ্রতা হতে বাঁচিবার জন্য) ইহা প্রায় বোজর্গানেদের আমল। সেজদায় গিয়ে পাঠ করতে হয়।
৭। হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর— দোয়া—ইয়া হাইউ ইয়া কাইয়ুম বিরাহ-মাতিকা আছতাগিছু আছলিহি লিশানি কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনি ইলা নাফসী তারফাতা আয়নি। এই দোয়া হযরত নবী করীম (সঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে শিক্ষাদান করিয়াছিলেন সর্ব বিষয়ে উন্নতি লাভের জন্য।
৮। হযরত আবুবকর (রাঃ) এর দোয়া মাসুরা —আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসী যুলমান কাছিরান ওয়ালা ইয়াগফিরুজুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দাকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরর রাহিম।
গোনাহ মাফের জন্য
৯। হযরত আলী (কঃ)-এর দোয়া ও মোনাজাত—“এলাহি তুবতু মিন কুল্লিল মায়াছী-বিএখলাছিন রিজাআল্লিল খালাছী আগিছনী ইয়া গীয়াছালমুছতাগীছিনা-বিফাজলিকাইয়াওমাইট্খাজু বিনাওয়াছি” ।