বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংক্ষিপ্ত জীবনী  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মহান স্থপতি । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন বৃটিশ-ভারতে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমায় কোটালিপাড়া থানায় পাটগাতি ইউনিয়নে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ, এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

এই পরিবারটি ইসলামধর্ম প্রচারের জন্য প্রায় দুইশত বছর পূর্বে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। আস্তে আস্তে তাদের প্রভাব- প্রতিপত্তি এই জনপদে ছড়িয়ে পড়ে এবং টুঙ্গিপাড়া গ্রামখানি এক বর্ধিষ্ণু গ্রামরূপে গড়ে উঠে। বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষরা কলিকাতা বন্দরের সাথে ব্যবসাবাণিজ্য করতেন। কলিকাতা থেকে কারিগর ও রাজমিস্ত্রি এনে দালান- কোঠা নির্মাণ করেন। 

১৮৫৪ সালে এর নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয়।ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ঢাকা-আরিচা পথে এর দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-মাওয়া সড়কে ১৪০ কিলোমিটার।  ১৯৭২ সালে টুঙ্গিপাড়া থানায় রূপান্তরিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় উন্নীত হয়। টুঙ্গিপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাইগার নদী। এই নদীটি মধুমতী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।

প্রাণির ওষধি গুনাগুন ও উপকারিতা
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়ে দিবে গুগল
ইউটিউব প্রিমিয়াম কি

শেখ লুৎফর রহমান ও মোসাম্মৎ সায়রা বেগমের চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃতীয় সন্তান। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন সিভিল কোর্টের সেরেস্তাদার। জোত-জমি ভালোই ছিল। নিজস্ব বাড়িতে গোলাঘরে যে ধান উঠত তা দিয়ে সারাবছর স্বচ্ছন্দেই কেটে যেত। বঙ্গবন্ধুর এক চাচা, খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন পাটগাতি ইউনিয়নে ২৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৬৫ এবং ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের এম.পি. হয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর এই বাড়ির অনেক আবাসগৃহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের চোখের সামনে তাঁদের গৃহ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ১৯২৭৭ বছর বয়সে নিজ বাড়ি থেকে সোয়া মাইল দূরে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন।

নয় বছর বয়সে পিতার কর্মস্থল গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন, যা বর্তমানে সীতানাথ মথুরানাথ ইন্সটিটিউট নামে পরিচিত। স্থানীয় মিশনারি স্কুলেও তিনি পড়াশুনা করেছেন। মিশনারি স্কুলটি পাকিস্তান আমলে কায়েদে আযম মহাবিদ্যালয় এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত। ১৯৩৪ বাবার কর্মস্থল মাদারীপুরে ১৪ বছর বয়সে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। 

এ সময়ে চক্ষুরোগে আক্রান্ত হন এবং কলিকাতায় একটি চোখে অপারেশন করতে হয়। এ কারণে তার পড়াশুনা সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। তিনটি বছর পড়াশুনা করতে পারেননি। ফলে ১৯৩৭ সালে পুনরায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন।

 ১৯৩৮ সালে 

১৯৩৮ আঠারো বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেসার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধুর বয়স ১৮ বছর এবং বেগম মুজিবের বয়স ১১ বছর। বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর চাচাত বোন। শেখ মুজিব ও বেগম মুজিবের দুই কন্যা – শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং তিন পুত্র – শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। কেবলমাত্র শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া পুত্রগণ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে ইহলোক ত্যাগ করেন।

১৯৩৯ সালে 

১৯৩৯ শেখ মুজিব গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সে সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক স্কুল পরিদর্শনে আসেন। তাকে যথাযোগ্য সংবর্ধনা জানাতে হবে। প্রথমদিকে কংগ্রেসের সমর্থকগণ এতে সম্মত হন। কিন্তু পরে তাঁরা বেঁকে বসেন এবং সংবর্ধনা প্রদানে বিরত থেকে বাধার সৃষ্টি করেন। তবুও সংবর্ধনা জানানো হয়। শেখ মুজিব ছিলেন সংবর্ধনা দেয়ার পক্ষে। 

হক সাহেব চলে যাবার পর দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটখাটো গোলামাল বেধে যায়। ঐ সূত্র ধরে ১৭ মার্চ শেখ মুজিব গ্রেফতার হন এবং ৭ দিন হাজত বাস করেন। এই হল তাঁর কারাজীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। অন্য আর একদিনের ঘটনা, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে পরিদর্শনে আসেন। 

ঠিক সে সময়ে হালকা পাতলা গড়নের একটি লিকলিকে ছেলে মন্ত্রী মহোদয়দের গতিরোধ করে সামনে এসে দাঁড়াল। সে তার পরিচয় দিয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার, আমাদের স্কুলের বোর্ডিং নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ওটা আমাদের ঠিক করে দিতে হবে।’ ছেলেটির বাচনভঙ্গিতে মন্ত্রীদ্বয় মুগ্ধ হলেন। সোহ্রাওয়ার্দী সাহেব সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, তোমার দাবি পূরণ করা হবে।’ সোহ্রাওয়ার্দী সাহেব এই ছেলেটির কথা ভুলতে পারেননি। তিনি তাকে

নিভৃতে ডেকে ডাকবাংলোয় দেখা করতে বললেন। সোহ্রাওয়ার্দী সাহেবের সাথে শেখ মুজিবের পরিচয় হল। তিনি এক নতুন জীবন লাভ করলেন। সে জীবন সংগ্রামের।

১৯৪০ সালে 

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই সময় পাকিস্তান নামে একটি আলাদা রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপিত হয়, যার অন্তর্ভুক্তি হবে মুসলিমপ্রধান অঞ্চলগুলো। সভায় পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। এসময় শেখ মুজিব নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান করেন এবং এক বছরের জন্য বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ মুসলিম ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি গোপালগঞ্জ মুসলিম ‘সেবক সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৪২ সালে 

১৯৪২ সালে শেখ মুজিব মিশন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবছরই কলিকাতায় ইসলামিয়া কলেজে কলা বিভাগে ভর্তি হন। থাকেন ধর্মতলা স্ট্রীটে বেকার হোস্টেলে। তখন কারমাইকেল ও বেকার হোস্টেলদ্বয় ছিল মুসলিম ছাত্রাবাস। এখানেই তাঁর প্রকৃত ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপিত হয়। তিনি মুসলিম লীগের সংস্পর্শে আসেন। সোহরাওয়ার্দী ও অন্যান্য নেতা মুজিবের অসাধারণ সংগঠন ক্ষমতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে মুগ্ধ হন।

১৯৪৩ সালে

বঙ্গবন্ধু নিখিল বঙ্গ মুসলিম লীগের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।

১৯৪৪ সালে 

কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগদান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কলিকাতাস্থ ফরিদপুরবাসীদের একটি সংস্থা ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তার মনোনীত প্যানেল জয়লাভ করে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য ফ্রী অ্যাপস
প্রী টাইম বাথ সম্পর্কে জানুন
গর্ভ অবস্থায় কি কি করবেন?

১৯৪৬ সালে 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জি.এস.) নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে ফরিদপুর জেলার নির্বাচনের দায়িত্ব শেখ মুজিবের উপর বহুলাংশে ছেড়ে দেয়া হয়। সে সময় তিনি জেলার গ্রাম গ্রামান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন। নির্বাচনী ফলাফলে তাঁর অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা প্রকাশ পায়।

১৯৪৭ সালে 

রাজনীতিকে জীবনের মুখ্য আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করলেও লেখাপাড়ার প্রতি তিনি

কোনোদিন অবহেলা প্রদর্শন করেননি। কেননা তিনি জানতেন, আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তার জন্য উপযুক্ত শিক্ষালাভের দরকার। কলেজ-ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি কার্ল মার্কস, বার্নাড শ’, নজরুল প্রমুখ মনীষীদের ভক্ত হয়ে পড়েন।

১৯৪৭ সালে

ইসলামিয়া কলেজ থেকে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বি.এ.-তে তাঁর পাঠ্য-বিষয়ের মধ্যে ছিল ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান । ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীন হয়ে যায়। পাকিস্তানের শাসনভার মুসলিম লীগের উপর ন্যস্ত হয়। মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দের সবাই উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে আগত ; যাদের অধিকাংশই ছিলেন নওয়াব, জোতদার এবং বোম্বাই, লক্ষ্মৌ গুজরাটের পুঁজিপতি।

মি. জিন্না, লিয়াকত আলী খানকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে নিজে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন। শুরু হয় মুসলিম লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মুজিব মুসলিম লীগের বুর্জোয়া মনোবৃত্তি এবং পশ্চিমা প্রাধান্য দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে ও সিরাজুদ্দৌলা কলেজের ছাত্রদের নিয়ে বৈঠক করেন।

 ১৯৪৮ সালে 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ৪ জানুয়ারি মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদে বলেন : “পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে মেনে নেবে”। বঙ্গবন্ধু এর প্রতিবাদ করেন। সারা বাংলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বঙ্গবন্ধু মুসলিম লীগের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং ছাত্র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

১৯৪৯ সালে 

২১ জানুয়ারি শেখ মুজিব কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে ধর্মঘট ঘোষণা করলে তিনি এ ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানান। কর্মচারীদের এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিকভাবে তাকে জরিমানা করে। তিনি এ অন্যায় নির্দেশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে ঐক্যের চেষ্টা করেন। এই লক্ষ্যে ১৪ নভেম্বর তিনি দলের বিশেষ কাউন্সিল ডাকেন এবং যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ বছর তিনি পিকিং শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন।

১৯৫৪ সালে 

১০ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতা ওয়াহিদুজ্জমানকে ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট লাভ করে ২২৩টি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগ পায় ১৪৩টি আসন। 

১৯৫৫ সালে 

৫ জুন বঙ্গবন্ধু গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী মুসলিম লীগের উদ্যোগে ১৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানের জনসভা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করে ২১ দফা ঘোষণা করা হয়। ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা না হলে দলীয় সদস্যরা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করবেন। 

 

১৯৫৬ সালে 

৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে খসড়া শাসনতন্ত্রে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান। ১৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সভায় প্রশাসনের সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্বের বিরোধিতা করে একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

১৯৭১ সালে 

৩ জানুয়ারি রেসকোর্সের জনসভায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যরা ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা এবং জনগণের প্রতি অনুগত থাকার শপথ গ্রহণ করেন। ৫ জানুয়ারি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে সর্বাধিক আসন লাভকারী পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনে তাঁর সম্মতির কথা ঘোষণা করেন।

জাতীয় পরিষদের সদস্যদের এক বৈঠকে বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত হন। ২৮ জানুয়ারি জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসেন। তিনদিন বৈঠকের পর আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের বৈঠক বয়কটের ঘোষণা দিয়ে দুই প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানান। ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে জনাব ভুট্টোর দাবির তীব্র সমালোচনা করে বলেন : “ভুট্টো সাহেবের দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

হযরত আনাস রাযি আঃ এর জিবন কাহিনী সম্পর্কে জানুন