প্রী-টার্ম বাথ কেন হয় জেনে নেই
কেবলমাত্র 12 শতাংশ প্রসব যন্ত্রণার মামলা এমন হয়, যাকে গ্রী-ম্যাচিয়োর বা গ্রী নর্ম বলা যেতে অর্থাৎযেসব প্রসব প্রেগন্যাসীর 11-তম সপ্তাহের আগে হয়। প্রী-টার্ম বাথ সংকটের মোকাবিলা করছেন, তাহলে আপনি নিজের সেই প্রী-ম্যাচিয়োর প্রসবের মোকাবিলা করার জন্য বেশ কিছু উপায় গ্রহণ করতে পারেন। অনেক মামলা তো এমন হয়, যেগুলোয় সংকটের লক্ষণ চিনে নেওয়ার পরেও সেগুলোর ওপরে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংকটের মাত্রাকে কমিয়ে নিয়ে আসা যেতে পারে। নীচে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে যেটাই
আপনার ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যাক না কেন সেগুলোকে কম করার চেষ্টা করুন সেগুলোর ওপরে নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করার চেষ্টা করুন, যাতে আপনার শিশু সঠিক সময়ে এই পৃথিবীর আলো দেখতে পায়।
গর্ভ অবস্থায় কি কি করবেন?
চ্যাট জিপিটি সম্পর্কে জানুন
ইউটিউব থেকে আয় করুন সহজে
ওজন কম বা বেশী হওয়া
আপনার ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশী হলেও আপনার প্রসব তাড়াতাড়ি হতে পারে।আপনাকে একেবারে সঠিক পদ্ধতিতে ডাক্তারের| পরামর্শ অনুসারে নিজের ওজন বাড়াতে হবে।তার জন্য এক স্বাস্হ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে, যাতে গর্ভকাল সহজে শেষ হয়ে পড়ার পরেই আপনার শিশু এই পৃথিবীতে পদার্পণ করতে পারে ৷প্রী-টার্ম বাথ কেন হয় চলুন জেনে নেই।
পোষণের অভাব
কেবলমাত্র সঠিক পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোই পর্যাপ্ত হয় না। আপনাকে নিজের শিশুর জীবনের এক স্বাস্হ্যকর সূত্রপাত করতে হবে। এমন আহারের সেবন করতে হবে, যাতে আপনার সময়-পূর্ব প্রসবের আশংকা না থাকে। এমনিতে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, দিনে পাঁচ বার নিয়মিত রূপে ভোজন করলে সময়-পূর্ব প্রসবের ঝুঁকিকে এড়ানো যেতে পারে !
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা এবং ভারী শারীরিক পরিশ্রম না করা
গর্ভকালের শেষ দিনগুলোয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে যতটা সম্ভব কম সময় দাঁড়িয়ে থাকুন। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে আর শারীরিক পরিশ্রম করলে প্রী-টার্ম ডেলিভারীর সম্ভাবনা বেড়ে ওঠে।তাহলে প্রী-টার্ম বাথ এর ঝুঁকি থাকে না।
ভাবনাত্মক মানসিক চাপ
বেশ কিছু অধ্যয়ণ থেকে এটা জানতে পারা গেছে যে, ভাবনাতাক মানসিক চাপেরও সময়-পূর্ব প্রসব (প্রী-ম্যাচিয়োর লেবার)-য়ের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকে।অনেক বার তো মানসিক চাপের কারণ এমনও হয় যেগুলোকে আপনি কোন ভাবেই কম করতে পারেন না, যেমন – চাকরী চলে যাওয়াবা পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যু হয়ে পড়াইত্যাদি। ভালো পোষণ, রিল্যাক্সেশন, প্রযুক্তিগত ব্যায়াম আর বিশ্রামের সঠিক সন্তলন এবং মিত্র আর সাথীদের সঙ্গে বার্তালাপ দ্বারা এই মানসিক চাপকে কম করা যেতে পারে।আপনি এই ব্যাপারে নিজের ডাক্তারের সহায়তাও নিতে পারেন।
মদিরা আর মাদক পদার্থের সেবন
মদিরা এবং মাদক পদার্থের সেবন করতে থাকা গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে সময়-পূর্ব প্রসবের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে ওঠে।ধূম্রপানের কারণেও সময়ের আগে প্রসব হয়ে পড়তে পারে। গর্ভধারণ করার আগে বা গর্ভকালে ধূম্রপান করা ত্যাগ করুন।যদি আপনি এখনও সেটা না ছেড়ে থাকেন, তাহলে এর থেকে ভালো সময় আর হতে পারে না!
প্রী টাইম বাথ সম্পর্কে জানুন
কি কি লক্ষন দেখা দিলে বুঝবেন আপনি গর্ভ ধারন করেছেন
কাবা ঘর নির্মানের ইতিহাস
মাড়ির সংক্রমণ
বেশ কিছু অধ্যয়ণ থেকে এটা জানতে পারা গেছে যে, মাড়ির রোগেরও সময়-পূর্ব প্রসবের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে। কিছু অনুসন্ধানকারী এমনটা মনে করেন যে, মাড়িতে জ্বলুনি সৃষ্টি করা ব্যাক্টেরিয়া রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে যায়। কিছু অনুসন্ধানকারী আরও একটা সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। ওনাদের বক্তব্য হচ্ছে এই যে, মাড়িতে ফোলা ভাব সৃষ্টি করা ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক তন্ত্রকে উত্তেজিত করে| তোলে যার ফলে সার্ভিক্স আর গর্ভাশয়েও জ্বলুনি হতে থাকে আর প্রসব সময়ের আগে হয়ে পড়ে। আপনাকে নিজের মুখের পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতার ওপরে পূর্ণ দৃষ্টি দিতে হবে। ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে নিজের দাঁতের রক্ষা করতে হবে, যাতে আপনি সময়-পূর্ব প্রসবের ঝুঁকিকে কম করতে পারেন।গর্ভধারণের আগেই এমন সংক্রমণের চিকিৎসা করিয়ে নিলে অনেক প্রকারের জটিলতার সাথে-সাথে সময়-পূর্ব প্রসবের ঝুঁকিও কমে আসে।
সার্ভিক্সে বিকার
অনেক বার সার্ভিক্স দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে আগে খুলে যায়।গর্ভবতী মহিলা মিস্ক্যারেজ বা সময়-পূর্ব প্রসবের পরেই এই ব্যাপারে জানতে পারেন। আল্ট্রাসাউণ্ড দ্বারা সময়ে সময়ে এই ব্যাপারে পরীক্ষা করালে এই ঝুঁকিকে অনেকটাই কম করা যেতে পারে।
আগের সময়-পূর্ব প্রসব
আপনার যদি এর আগের গভর্বিস্হাতেও এমনটা ঘটে থাকে, তাহলে আপনার পক্ষে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে উঠতে পারে। আপনার ডাক্তার এই ঝুঁকি এড়ানোর জন্য গভর্বিস্হার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তিন মাসে আপনাকে প্রোজেস্টেরনের ডোজ দিতে পারেন।ঝুঁকিগুলোর ওপরে নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করা যায় না, কিন্তু কিছুটা উন্নতি অবশ্যই করা যেতে পারে। এই সব ঝুঁকিগুলোর মোকাবিলা করার জন্য ডাক্তারবাবু আপনাকে আর নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুতও করতে পারেন।
মাল্টিপ্লাই
একাধিক শিশুর জন্ম হলে গর্ভবতী মহিলা, গড়পড়তা তিন সপ্তাহ আগেই শিশুর জন্ম দেন (যদিও যমজ বাচ্চাদের পুরো প্রসব কাল 27 সপ্তাহ হয় যার অর্থ হচ্ছে এই যে, তিন সপ্তাহ সময় খুব বেশী সময়নয়)। প্রসব-পূর্ব ভালো দেখাশোনা, পর্যাপ্ত। পোষণ দ্বারা, ঝুঁকি কম করে আনা আর গর্ভের শেষ তিন মাসে পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ দ্বারা কিছু-কিছু ঝুঁকিকে কম করা যেতে পারে।
সার্ভিক্সের সমস্যা
বেশ কিছু মহিলাদের সার্ভিপ্সের কারণেও প্রী-টার্ম বাথ সমস্যা উৎপন্ন হয়ে পড়ে। যদি সময়ে সময়ে | আল্ট্রাসাউণ্ড দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, তাহলে তার দ্বারা এমন ঝুঁকির বৃত্তে আসা মহিলাদের সহায়তা প্রাপ্ত হতে পারে।ডায়াবেটিজ, প্রীএক্সেম্পসিয়া আর প্রয়োজনে বেশী এম্নিয়োটিক ফফ্লুইড আর প্লেসেস্টার সঙ্গে যুক্ত সমস্যার কারণেও সময়-পূর্ব প্রসব হতে পারে।এই সব জটিলতার ওপরে নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করে গর্ভকালের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
দীর্ঘকালীন রোগ
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়, কিডনী বা লিভারের রোগ এবং ডায়াবেটিজ ইত্যাদি দীর্ঘকালীন রোগও সময়ের আগে হওয়া প্রসবের কারণ হয়ে ওঠে… কিন্তু লো চিকিৎসা ব্যবস্হাপনা এবং সঠিক দেখাশোনা দ্বারা সেটার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে।
সাধারণ সংক্রমণ
সেক্স জনিত রোগের কারণেও সময়ের পূর্বে প্রসব হতে পারে। যদি সংক্রমণের ফলে গর্ভস্থ শিশুর সংকট সৃষ্টি হয়ে পড়ে, তাহলে শরীর গর্ভস্হ শিশুর সুরক্ষার জন্য সময়-পূর্ব প্রসবের পদ্ধতি গ্রহণ করে।সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা গ্রহণ করে এই সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
17 বছরের থেকে কম বয়স
17 বছরের থেকে কম বয়সের গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রে সময়-পূর্ব প্রসবের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে ওঠে। ভালো পোষণ এবং প্রসবের আগে ভালো। দেখাশোনা দ্বারা মা এবং শিশুর পূর্ব বিকাশ করা যেতে পারে।
আমার প্রথম গর্ভাবস্থায় প্রী-টার্ম বাথ হয়েছিল। যদিও আমি সেই সম্পর্কিত সকল প্রকারের চিকিৎসা করিয়েছি কিন্তু এবারও কি সেই একই সমস্যা হতে পারে ?”আপনি যদি আগে থেকেই সকল চিকিৎসা করিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার শিশু একেবারে সঠিক সময়েই এই পৃথিবীতে পদার্পণ করবে!
যদিও আপনি নিজের ডাক্তারের সঙ্গে মিলে এমন আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন, যাতে প্রী-টার্ম বার্থের কোন ঝুঁকিই না থাকে। সবার আগে তো নিজের ডাক্তারের থেকে এটা জানুন যে, এই ব্যাপারে সাম্প্রতিক কোন অধ্যয়ণ হয়েছে কি না? অনুসন্ধানকারীরা এটা জানতে পেরেছেন যে, 16 থেকে 36 সপ্তাহের সময় যদি শট বা জেলের রূপে প্রোজেস্টেরন হামোণ দেওয়া হয়, তাহলে প্রী-টার্ম বার্থের ঝুঁকিকে অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে। আপনিও নিজের ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এটা নিতে পারেন। তারপর নিজের ডাক্তারকে এটা প্রশ্ন করুন যে, আপনার স্ক্রীনিং টেস্ট করানোর কোন প্রয়োজন আছে কি না কারণ এই টেস্টের পোজিটিভ ফলের অর্থ হচ্ছে এর পরে আরও অনেক টেস্ট করাতে হবে।
ফ্যাটাল ফায়ব্রোনেক্টিন (Fatal Fibronectin) স্ক্রীনিং পরীক্ষা দ্বারা যোনিতে প্রোটিনের ব্যাপারে একমাত্র তখনই জানতে পারা যায়, যদি এমনিয়োটিক স্যাক গভাশয়ের প্রাচীরগুলোর থেকে আলাদা হয়ে পড়ে (এটা হচ্ছে সময়-পূর্ব প্রসবের সংকেত)। বাদ এই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু যদি রিপোর্ট পোজিটিভ আসে আর প্রী-টার্ম লেবারের ঝুঁকি দেখতে পাওয়া।যায়, তাহলে ডাক্তার আপনার গভবিস্হাকে দীর্ঘ করতে পারেন বা শিশুর ফুসফুসকে সময়ের আগে হওয়া প্রসবের জন্য প্রস্তুত করে।
দ্বিতীয়তঃ স্ক্রীনিং টেস্ট দ্বারা সার্ভিক্তের দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জানতে পারা যায়। এটাকে আল্ট্রাসাউণ্ডের সহায়তায় মাপা হয়ে থাকে। স্টেযদি ছোট হয় বা যদি সেটার খোলার সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে ডাক্তার আপনাকে বেডরেস্টের পরামর্শ দিতে পারেন বা সার্ভিদে সেলাই করতেও পারেন (যদি আপনার গভাবিহার এখনও 22 সপ্তাহ পুরো না হয়ে থাকে)। তথ্য দ্বারা সর্বদাই শক্তি প্রাপ্ত হয়, কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনি দ্বিতীয় শিশুর ঠিক সময়ে প্রসব হওয়াকে সুনিশ্চিত করে তুলতে পারেন।