দোয়াসমূহ

দেনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

  • ওযূ করতে বিছমিল্লাহ বলে শুরু করবে এবং মাঝে মাঝে এই দোয়পাঠ করবে “আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবী ওয়া ওয়াচ্ছিলী ফিদারী ওয়া বারিকলী ফি রিজকী।”

 এই দোয়া পাঠের দ্বারা বিশ লক্ষ নেকী লাভ হয়। যথা :- “লা-ইলাহাইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু আহাদান ছামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ”।

  •  জানাযার নামাযের জন্য দোয়া- “আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িবিনা ওয়া ছাগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া ইনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহইয়ায়তাহু মিন্না ফাআহ্ইহি আলাল ইসলাম, ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু আলাল ঈমান, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

ও দোওয়ায়ে কুনুৎ যথাঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাছ্ তাঈনুকা ওয়া নাছতাগ ফিরুকা ওয়ানুমুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্বালু আ’লাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইরা ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা নাকফুরুকা ওয়া নাখলাউ ওয়া নাভ্রুকু মাইয়াফযুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বদু ওয়া লাকা নুহাল্লী ওয়া নাহজুদু ওয়া ইলাইকা নাছ্‌আ ওয়া নাফিদু ওয়া নারযু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আ’জাবাকা ইন্না আ’জাবাক৷ বিলকুফ্ফারি মুলহিক্ব।

ইসলামে নামাযের গুরুত্ব
তালাকের মাসাআলা
  •  আযানের শেষে পাঠের দোয়া–“আলু হয়। রাব্বা হাজিহিন্দাওয়াতিত্তাম্মাতি ওয়াচ্ছালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানীল ওয়াছিলাতা ওয়াল ফাজিলাতা ওয়াবয়াছহু মাকামাম মাহমুদা নিল্লাজি ওয়াদতাহু ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ।
  •  নামাযে পাঠের জন্য দোয়ায়ে মাছুরা-আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফছি যুলমান কাছিরান ওয়ালা ইয়াগফেরুজজুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আনতাল গাফরুর রাহিম। ও “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাপ্লাহিল আযিম ওয়া বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহা”

এই দোয়া প্রত্যহ ফজরের নামাযের পূর্বে বা পরে একশতবারপাঠ করলে পর্বতসম পরিমাণ গোনাহ থাকলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ইহা খুবেই ছোট দোয়া কিন্তু ফজিলত ও বুজর্গী খুবই বেশী। আল্লাহপাক ইহার একটি শব্দ হতে এক একটি কেরেস্তা সৃষ্টি করে পাঠকারীর জন্য তাছবী পাঠে নিয়োগকরেন এবং ইহার ছওয়াব ঐ তাছবী পাঠকারী কেয়ামত পর্যন্ত পেতে থাকে। ইহা একটি স্থায়ী ছওয়াব লাভের উপারও বটে।

 ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লাশারীকালাহু লাহুল মুলকু ও লাহুল হামদু ইউহরি ও ইউমিতু ওয়া হুয়া হাইয়ু লা ইউমিতু বেয়াদিহিল খায়রে ওয়া হুয়া আলা কুল্লে শাইয়েন কাদির” এই দোয়া কোন বাজারে অবস্থান কালে পড়লে একলক্ষ গুণাহ মাফ হয় ও উহার বিনিময়ে এক লক্ষ নেকী লেখা হয় প্রত্যেক নামাজের পর পাঠ করলে অসংখ্য গুনাহ কেটে অসংখ্য নেকী লেখা হয়। আর সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না।

  • ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহ আকবার” সকাল এবং সন্ধ্যায় একশতবার করে পাঠ করলে পাঠকারীর আমাল নামায় একশত হজ্ব করার ছওয়াব, একশত ঘোড়া জেহাদে দান করার ছওয়াব এবং একশত গোলাম মুক্ত করার ছওয়াব পাঠকারীর আমলনামায় লিখা হয়। ইহা অত্যন্ত ফজিলতের দোয়া। নবী করীম (সঃ)-এর কাছে এই দোয়া অতি প্রিয় ছিল।
  •  খাওয়ার শুরুতে পড়তে হয় যথা- “বিছমিল্লাহি ও-আলা বারাকাতিন্নাহি ও খাওয়ার পরে “আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতওয়ামানা ওয়া সাকানা ওয়াজায়ালনা মিনাল মুসলিমিন” ।“ কেহ দোয়া চাইলে বা কাওকে বিদায় জানাতে হলে পড়বে—“ফি আমানিল্লাহ।”
  •  কোন শুভ-সংবাদ শুনলে বলবে—“লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।”
  •  কোন রোগীকে দেখতে গেলে পড়বে “লা বাছা তাহুরুণ ইনশাআল্লাহ” পাঠ করবে।
  •  হজ্ব করার সৌভাগ্য লাভের জন্য দোয়া——“মাশ আল্লাহু” এক হাজার বার পাঠ করবে।
  • পায়খানা ও প্রস্রাবের আগে পাঠের দোয়া—“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খোবছি ওল থাবায়িছ।”
  •  অজুর দোয়া—”বিছমিল্লাহিল আলিয়িল আজিম ওয়াল হামদুলিল্লাহি আলা দিনিল ইসলামি আল ইসলামো হাকো ওয়াল কোফরো বাতিলোন ওয়াল ইসলামো নূরুন ওয়াল কোফরো জোলমাত।” গোসলের দোয়া——“নাওয়াইতুল গোসনা লিরাফয়িল জানাবাতি”।
  • কোন খারাপ কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে—‘নাউজুবিল্লাহ।”
  • আচানক কিছু ঘটতে দেখলে বা শুনলে বলবে—“সুবহানাল্লাহ”।
  •  সহবাসের দোয়া — বিছমিল্লাহি আল্লহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তানা ও জান্নীবিস শায়তানা মা’রাজাকতানা।”
  • কোন পশু-পাখী জবেহ করার দোয়া—বিছমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।”
  •  যান বাহন বিশেষ করে নৌযান আরোহণকালে পাঠের দোয়া— ‘বিছমিল্লাহি মাজরিহা ওয়া মুরছাহা ইন্না রাবি না গাফুরর রাহিম।” পুলের উপর উঠাকালেও এই দোয়া পড়বে। যে কোন যানবাহনে চলমান সময়ে পড়বে “ছুবহানাল্লাজী ছাখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন” পাঠে দুর্ঘটনা বা বিপদ আপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।
  •  মেছওয়াফ করবার পূর্বে পড়বে “আল্লাহুম্মা বারিকলী ফিহি” ।
  •  মসজিদ দেখলে পড়বে “আল্লাহুম্মাগফেরলী যুনুবী ওয়া খাতায়ি ওয়া আমাদী” ।

ও মসজিদে ঢুকবার দোয়া-ডান পা প্রথমে দিয়ে পাঠ করবে আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা” ।মসজিদ হতে বের হয়ার সময় বাম পা প্রথমে দিয়ে পড়বে “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা” ।

  •  বৃষ্টি লাভের জন্য—“আল্লহুম্মা আছকিনা, আল্লহুম্মা আছফিনা আল্লাহুম্মা আগছিনা’ পাঠ করবে। “সূরা দোখান” পাঠ করলেও বিশেষ ফল পাওয়া যায়। “ জান মাল হেফাজতে থাকার জন্য পাঠ করবে “বিছমিল্লাহি আলা নাফছি ওয়াহলি ওয়ামাল”। শোয়ার সময় বিছমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করলে আল্লাহ পাক পাঠকারীকে যাবতীয় দূর্ঘটনা থেকে নিরাপদে বা হেফাজতে রাখেন।গু নীচের দিকে নামিতে “সুবহানাল্লাহ” এবং উপরের দিকে উঠিতে “আল্লাহ আকবার” পড়বে।ও শত্রুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য-“আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ আলু’কা ফি নুহরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম” ইহার সঙ্গে “তাব্বাত ইয়াদা” ও “আলামতারা” সুরা পাঠ করবে।

ও সফরে থাকাকালীন-“আউযুবি কালিমাতিল্লাহি তায়াম্মাতি মিন শাররী মা খালাকা” পাঠ করলে কোন কিছু ক্ষতি করতে পারবে না।

  •  আল্লার নাম শুনে “জাল্লা সানুহ” বলবে, রাসুলুল্লাহর নাম শুনে “ছাল্লিল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লিম” বলবে, অন্য পয়গাম্বর ও ফেরেস্তার নাম“আলাইচেচ্ছালাম” বলবে, ছাহাবাদের নাম শুনলে “রাজিআল্লাহু তাআয়ালা আনহু” বলবে, এবং কোন পীর বোজর্গ ব্যক্তির নাম শুনে “রাহমাতুল্লাহি আলাইহি” বলবে, নতুবা গোনাহগার হতে হবে। [যে সকল মুসলমান ঈমানের সাথে নবী করীম (সঃ) কে দেখেছেন তাদেরেকে সাহাবী বলা হয়।]
  • রোজার নিয়ত-“নাওয়াইতিতুয়ান আছুমা গাদাম্মিন শাহরি রামজানাল মুবারাকি ফারজান্নাকা ইয়া আল্লাহু কফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আন্তাচ্ছামিউল আলিম।
  •  ইফতারের দোয়া-আল্লাহুম্মা লাকাছুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু, বিরাহমামিতা ইয়া আরহামার রাহিমিন” ইফতারী সামনে নিয়ে বলবে-“ইয়া ওয়াসিয়াল ফাজলি ইয়াগফিরলী।”
  •  সাত দোযখ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য সকাল বিকাল সাতবার করে পড়বে, “আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নারী” এবং বেহেস্ত লাভের জন্য আট বার পড়বে “আল্লাহুম্মা ইন্নি আছ আলুকা রিজারা ওয়াল জান্নাহ”।
  •  নতুন কোন্ ফল খেলে পড়বে “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি ছামারিনা ও বারিক লানা ফি মাদিনাতীনা ও বারিক লানা ফি ছামারিনা ও বারিক নানা ফি মুদ্দিনা। গু ভূমিকম্পের সময় পড়বে “লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজজুয়ালিমিন”
  •  কবর আযাব হতে বাঁচার জন্য দোয়া “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আযাবাল বলরে”।ও দাওয়া ত খাওয়ার পর পড়বে “আল্লাহুম্মা আতায়িম মান আতআনি ওয়াসিকে মান হাকানী ।
  •  রাগের সময় গড়ার দোয়া “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম।”কুকুরের ডাক শুনেও ইহা পাঠ করবে।
  •  মশা তাড়াবার দোয়া “মান কানা লিল্লাহি কানাল্লাহু লাহু” ৪১ বার পাঠ করে চতুদ্দিকে ফুঁ দিলে মশা চলে যাবে। (পরীক্ষিত আমল)
  •  বজ্র পড়ার ভয় হতে বাঁচার জন্য পাঠ করবে ‘ইয়া ওয়াকিলু’ ।ও আযানে মুয়াজ্জিন যখন ‘রাসুলুল্লাহ’ বলবে শ্রবণকারীরা তখন “কুররাত আয়নি বিকা ইয়া রাসুলুলাহ” পাঠ করে দু হাতে বৃদ্ধা আঙ্গুলী চুম্বন করতঃ উহা দ্বারা চক্ষু মুছে নিলে সমস্ত পাপ ঝরে পড়বে।
  • কোন কিছু পান করালে বা কিছু দিলে অথবা কেহ কোন উপকার করলেবলবে “যাজাকাল্লাহু খায়রা।”
  • মোসাফাহ করার সময় বলবে “ ইয়াগ ফিরুল্লাহ লানাওয়ালাকুম।”
  • সূর্য গ্রহণ বা চন্দ্ৰ গ্রহণ লাগলে বলবে “আল্লাহু আকবার”।
  • প্রত্যহ নামাজ বাদ মাথায় হাত রেখে “ইয়া কাবিউ” এগার বার পাঠ মাথায় ব্যথা করলে দূর হয় ও স্বরণশক্তি বৃদ্ধি হয়।
  •  যে ব্যক্তি “ইয়া গাফফারুগ ফিরলী জুনুবী” বাদ জুমা একশত বার পাঠ করবে সে যা বলবে তাই হবে।ও সুরা ফালাক ও নাছ পাঠের আমলের দ্বারা যাদু-টোনা ও শয়তানের শত্রুতা ও ঝড় তুফান হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
  •  কোন কঠিন কাজ সহজ হওয়ার জন্য “ওয়া উফাব্বিদু আমরী ইলাল্লাহি ইন্নাল্লাহা বাছিরুম বিন ইবাদ” পাঠ করবে।
  •  “আন্নাফিউ” পাঠের আমল করলে ব্যবসায়ে প্রচুর লাভ ও ডাক্তারের হাত যশঃ বৃদ্ধি পায়।
  • স্বপ্নে কোন কিছু দেখতে ইচ্ছা করলে “আনুনরু ওয়ালা বাছিতু পড়তে পড়তে শুয়ে গেলে তা দেখা যায়।
  • প্রত্যহ ফজল নামাজ বাদ “আল্লাহু” এক হাজার বার পাঠ করলে গুপ্ত সংবাদ অবগত হওয়া যায়।
  • মন খারাপ থাকলে “আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল” পাঠ করবে।
  •  পায়ে ঝিন ঝিনী রোগ দেখা দিলে “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) পড়তে থাকবে।ও পিতা-মাতার জন্য “রাব্বের হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানী ছাগীরা” পড়ে মুনাজাত করবে।
  •  বিছমিল্লাহ সহ সূরা ফাতেহা খাঁটি নিয়তে পাঠ করে পাগলের মাথায় ফুঁ দিতে থাকলে পাগল ও আরোগ্য হয়। সুরা ফাতেহা সকল রোগের শেফাবিশেষ।
  •   পরীক্ষা পাশের দোয়া-“ওয়াল্লাহুলা মুস্তাআনু আলা মা তাছিফূন” ১০১ বার দৈনিক পাঠ করলে পরীক্ষা পাশ করা যায়।
  •  “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজিউন” কোন মুসলমানের মৃত্যু সংবাদ শুনলে পড়তে হয়। ইহা পাঠে হারানো জিনিসও পাওয়া যায়। ইয়া জামিউ পাঠ করলেও হারানো বস্তুর খোঁজ মিলে এবং উভয়ের মাঝে তিক্ততার সৃষ্টি হয় না।
  •  “ইয়া ওয়াদুদু” পাঠ করে দ্রব্যে ফুঁ দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে খাওয়ালে উভয়ের মাঝে গভীর ভালবাসা জন্মে।ও যে কোন ব্যথা স্থানে হাত রাখে “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম ওয়া বিল হাক্কি আনযালনাহু বিল হাক্কে নাযালা” পড়ে ফুঁ দিলে ব্যথা কমে যায়।
  •  “ফালাওয়া ইজা বালাগাতিল হুলকুম” পাঠ করে শাহাদাত আঙ্গুলী গলার বাইরে ঘুরাইতে থাকলে গলা হতে মাছের কাঁটা খুলে আসে।
  • শীঘ্র বিবাহের জন্য ফজরের নামাজের বাদ ডান হাত বাম হাতের উপর রাখে চল্লিশ বার “ইয়া ফাত্তাহু” পাঠ করলে চল্লিশ দিনের মধ্যে মেয়ের বিবাহ হয়ে যাবে ইন্‌শায়াল্লাহ।
  •  নামাজের পর তিন বার “ফাকা শাফনা আনকা গিতায়াকা ফাবাছারুকাল ইয়াও কমা হাদিদ” ও এগার বার “ইয়া নরু ইয়া বাছিরু পড়ে চক্ষে ফুঁ দিলে চক্ষের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।
  • মাথা বেদনায় “লা ইউছাদ্দাউনা আনহা ওয়ালা ইউনযিফূন” পাঠ করে ফুঁ দিলে মাথা ব্যথা আরোগ্য হয়।
  •  পেটের বেদনায় “আউজুবি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররী কমা আজিদু ওয়ামা উহাযিরু” পড়ে বেদনার স্থানে ফুঁ দিয়ে হাত বুলায়ে দিলে ব্যথা উপশম হয়।
  •  চোখের মধ্যে কোন বালু কনা পড়লে বাম হাতের তালুতে সরিষা তৈল নিয়ে ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ঘসে “ছোমুন বুকমুন য়ুমইউন ফাহুম লা ইয়ারিযিইন” পাঠ করলে কনা নেমে আসে।
  •  বদ নজর লাগলে “বিছমিল্লাহি আল্লাহুম্ম হাররাহা ওয়া বারদাহা” পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে খাবে।
  • কর্ণ রোগের জন্য “যাকারুাল্লাহু বিখায়রিম মান যাকরানী” দরূদ শরীফের সাথে একুশবার পাঠ করিয়া ফুঁ দিলে আরোগ্য হয়।
  •  “ওইজা বাতাইয়াশতুম বাতাইয়াশতুম জাব্বারীন” এক দশে সাতবার পাঠ করে যে কোন প্রাণীর দংশিত স্থানে আঙ্গুলী ঘুরাতে থাকলে বিষ পানি হয়ে যাবে।
  •  “হাছবুনাল্লাহু ওয়া নিয়ামাল ওয়াকিল” সর্বদা পাঠ করলে বিপদাপদ দুর হয় ও রোজি রোজগার বৃদ্ধি পায়।“ হৃদ রোগের জন্য ‘আলা রিজিকাল্লাহি তামাইনুল কুলুব” বেশী ভাবে পাঠ করলে আরোগ্য হয়।
  •  অর্দ্ধাঙ্গ রোগের জন্য “ইউহই ওয়া ইউমিতু” বেশী ভাবে পাঠ করলে ফায়দা হয়।“ইয়া আইয়ুবা ইজ নাদা রাব্বাহু আন্নী মাস সানিয়াদ দুররু ওয়া আন্তা আরহামুর রাহিমিন” সর্বদা পাঠ করলে কুষ্ঠরোগ আরোগ্য হয়।
  •  “ইয়া মুছাব্বিবাল আছবাবি কছাব্বিব” প্রত্যহ নামাজ বাদ বেশী করে পাঠ করলে অভাব দূর হয়।
  • কোরবানীর দোয়া “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওল আরদা হানিফাঁও ওমা আনা মিনাল মুশরিকিন, ইন্না ছালাতি ওনুসুকী ওমাহইয়া ও মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
  • হাঁচি দিয়ে “আলহামদুল্লিলাহ” বলবে ও শুনে বলবে “ইয়ার হামুকাল্লাহ”।
  • সাপে দংশন করলে কাশার থালার পিঠে ৪১ বার ‘আল্লাহুচ্ছামাদু’ পড়ে ফুঁ দিয়ে রোগীর পিঠে লাগাবে।
  •  ফোঁড়া বাঘী হলে আঙ্গুলে থুথু নিয়ে মাটি মিশায়ে এ দোয়া পাঠ করে চারিদিকে লেপ দেবে “তুরবাতো আরদিনা বিরীকাতি বাজিনা লিইয়াশফা ছাকীমুনা বিইজনী রাব্বিনা।”
  •  চলাফেরা উঠাবসার সময় “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম” পাঠ করবে।
  • এ দোয়া পড়ে মুদ্দাকে কবরে রাখবে “বিছমিল্লাহি ও মিল্লাতি রাছুলিল্লাহি।”
  •  কবরে মাটি দেওয়ার সময় পাঠ করবে “মিনহা খালাকনাকুম ওয়া ফিহা নুইদিকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।”
  •  কবর যেয়ারতের দোয়া “আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরি ইয়াগফিরুল্লাহ লানা ওয়ালাকুম ও আনতুম ছালাফুনা ও নাহনু বিল আছারি।”