নামাযের গুরুত্ব

ইসলামে নামাযের গুরুত্ব

নামায ফারসী ভাষার শব্দ। আরবীতে বলা হয় সালাত। সালাত শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নামায, দুরূদ, দোআ, এস্তেগফার, সম্পর্ক প্রভৃতি।পারিভাষিক অর্থে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্ধারিত এবাদত আদায়ের নাম সালাত। সালাত বা নামায ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির একার্ট। ঈমানের পরেই নামাযে স্থান। নামাযই এমন একটি এবাদত, যা ধনী-নির্ধন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমানের উপর সর্বদা সর্বাবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা ফরয। নামাযের ফরয হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারী কাফের।

নামায অস্বীকার করলে সে ব্যক্তির আর নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়ার কোন অধিকার থাকে না। এমনকি ইচ্ছাপূর্বক নামায ত্যাগকারীকে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর এক হাদীসে কাফের বলা হয়েছে। অন্য এক হাদীসে নামাযকে ঈমান ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য বলে বলা হয়েছে। সুতরাং প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন সকল মুসলমানের উপরই নামায ফরয। এর কোন ব্যতিক্রম নেই।

গুগল ক্রোমের নতুন ফিচার
মোবাইল এর ক্ষতিকর দিক
এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয়

নামায জামাআতের সাথেই ফরয হয়েছে। তাই জামাআতের সাথে আদায় করাই বিধেয়।সাত বছর বয়সের সময় থেকেই একজন মুসলিম সন্তানের উপর নামায ফরয হয়, কিন্তু এসময় থেকে ফরয হলেও তার উপর কোন শাস্তি প্রয়োগ হয় না। কেননা, এক হাদীসে বলা হয়েছে, তোমরা সাত বছর বয়সকালে তোমাদের সন্তানদেরকে নামায আদায়ের নির্দেশ কর। দশ বছর বয়সে উপনীত হলে তাদেরকে নামাযের জন্য মারপিট কর।

দিনে-রাতে পাঁচবার নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট নিয়মে নামায আদায় করতে হয়। কোরআনের অনেক আয়াত ও হাদীস শরীফে নামাযের বিবিধ উপকারিতার বিষয় বিধৃত হয়েছে। সেসব আয়াত ও হাদীসের মর্মানুসারে একজন মুসলমানের জীবনের জন্য নামায অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। নামাযের মধ্য দিয়ে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে এক বিশেষ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে, যা অন্য এবাদত দ্বারা সম্ভব হয় না।

এ কারণেই নামাযকে মুমিনের মেরাজ বলা হয়েছে। নামায আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক সৃষ্টির একটি উত্তম মাধ্যম। তাই এরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম অস্বীকারকারী মুসলমান বলে বিবেচিত হতে পারে না। “নামায মুসলমান ও অমুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে।’- (আল-হাদীস) “প্রতিটি জিনিস চেনার জন্য একটি বিশেষ চিহ্ন থাকে; নামায হল ঈমানের সেই বিশেষ চিহ্ন।”” হযরত মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, হুযুর (সঃ) যখন ঘরে আসতেন তখন আমাদের সাথে সরল ও খোলাপ্রাণ হয়ে কথাবার্তা বলতেন।এটা ছিল তাঁর চিরাচরিত অভ্যাস, কিন্তু আযান শোনামাত্রই নামাযে যেতে তিনি এরূপ ব্যস্ত হয়ে যেতেন যে, সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের সাথে কথোপকথন বন্ধ করে দিতেন।তখনকার অবস্থা দেখলে মনে হত, আমরা যেন তাঁর কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত।

মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়
জাপানি মেয়েদের রূপের রহস্য জেনে নিন

কারণ,আল্লাহ তাআলা ও তাঁর বান্দাদের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র উপায় হল নামায। মাওলার সাথে সম্বন্ধ রক্ষা করতে স্ত্রী-পুত্র দূরের কথা, দুনিয়া বা দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার সব বিনষ্ট হলেও কোন ক্ষতি নেই। হযরত হাসান (রাঃ) এর করে তাঁর মাথার উপর এসে বসত। কারণ হচ্ছে মহান আল্লাহর প্রতাপ ও শ্রেষ্ঠত্বের ভয়ে তিনি যেন সমস্ত চেতনাশক্তিই হারিয়ে ফেলতেন।

 হযরত ইব্রাহীম বিন শরীক (রাঃ) সেজদায় এত বিলম্ব করতেন যে, চতুষ্পদ জন্তু তাঁকে মাটির স্তূপ মনে করে তাঁর পিঠের উপর চড়ে বসত। অর্থাৎ, সেজদায় এত মগ্ন হয়ে যেতেন যে, দ্বিতীয় সেজদা দিতে হবে এ খেয়ালই তাঁর থাকত না।

হযরত হাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নামাযে এত  অধিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, তাঁর উভয় পদ মোবারক ফুলে যেত। অথচ তিনি ছিলেন নিষ্পাপ, বেগোনাহ। তাঁর কাঁদার দরুন চোখের পানিতে নামাযের মোসল্লা ভিজে যেত। মনে হত যেন ফোঁটা ফোঁটা বর্ষার পানি পড়ছে।

 হযরত সাফওয়ান উপর্যুপরি ৪০ বছর পর্যন্ত শয্যা গ্রহণ করেননি। খোদার দরবারে সেজদা করতে করতে তাঁর সেজদার স্থানের গোশত সরে গিয়ে শুষ্ক হাড় দেখা যেত।

হযরত ওয়ায়েস করনী (রঃ) সারারাত জাগ্রত থেকে আল্লাহর এবাদতে মশগুল থাকতেন। তিনি বলতেন, কি আশ্চর্য! ফেরেশতারা খোদার এবাদতে ক্লান্ত হন। না, অথচ আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হওয়া সত্ত্বেও এবাদত ছেড়ে আরামে নিদ্রা যাই।

কথিত আছে, হযরত মুহাম্মদ বিন মুনাকাদের (রঃ) সম্পূর্ণ রাতকে তিন ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ মায়ের খেদমতে, দ্বিতীয় ভাগ সহোদরা ভগ্নীর সেবায় ও তৃতীয় ভাগ এবাদতে কাটিয়ে দিতেন। ভগ্নীর ইন্তেকালের পর রাতের অর্ধাংশ মায়ের খেদমতে এবং বাকী অর্ধাংশ এবাদতে কাটিয়ে দিতেন! যখন যা ইন্তেকাল করেন তখন তিনি গোটা রাতটাই বিশ্ববিধাতার এবাদতে মগ্ন থাকতেন।

 হযরত মুসলিম বিন বাশশার (রঃ) যখন ঘরে নামাযে দাঁড়াতেন তখন ছেলেমেয়েদেরকে বলে দিতেন, তোমরা এখন ইচ্ছানুযায়ী কথাবার্তা বলতে পার। কেননা, নামাযের মধ্যে তোমাদের চিৎকার আমার কানে প্রবেশ করতে পারে না। বস্তুত তিনি যখন নামায আরম্ভ করতেন তখন তাঁর ছেলেমেয়েরা অত্যধিক চিৎকার এবং গোলমাল করত। অথচ তারা সকলে তাঁকে এত ভয় করত যে, তিনি গৃহে আসামাত্র একেবারে নীরব হয়ে যেত। কিন্তু নামাযে আল্লাহর ধ্যানে তিনি এতদূর তন্ময় হয়ে যেতেন যে, শিশুদের চিৎকার শুনতেই পেতেন না।নামাযের এ অবস্থা সম্পর্কে মাওলানা রুমী (রহঃ) বলেন, খাঁটি নামাযী যখন নামাযের নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে, তখন মৃত ব্যক্তি যেমন দুনিয়া হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেও তেমনি তন্ময়তার সাথে এ দুনিয়া হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

হযরত মুসলিম (রঃ) একবার ঘরের এক কামরায় নামাযরত ছিলেন। এমন সময় ঐ কামরার একদিকে আগুন লেগে গেল। ঘরের লোকজনের শোরগোলে মহল্লার লোকজন নামায শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার কারণ নামায সকল এবাদতের সেরা হবার অনেক কারণ আছে। নিম্নে তার কয়েকটি বর্ণনা করা হল ঃ

১। ইসলামের যাবতীয় ফরয যেমন- হজ্জ, যাকাত, রোযা প্রভৃতি ওহীর মারফত দুনিয়াতেই ফরয হয়েছে। কিন্তু নামায স্বয়ং আল্লাহ তাআলার আরশের সম্মুখেই ফরয করা হয়েছে। অতএব, এটা সুস্পষ্ট যে অন্যান্য সব এবাদত অপেক্ষা একমাত্র নামাযের প্রতিই সবচেয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছেএবং এ কারণে কোরআন-হাদীসে নামাযের জন্য বারবার তাকিদ দেয়া হয়েছে। অন্য কোন এবাদতের জন্য এরূপ তাকিদ দেয়া হয়নি।

২। যখন কোন বান্দা নামাযে দাঁড়ায় তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বয়ং তার সম্মুখে হাযির হন। যদি নামাযী অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে তখন আল্লাহ তাআলা তাকে বলেন, হে বান্দা! আমি তো তোমার সম্মুখে আছি। তুমি আমার প্রতি মনোযোগ স্থাপন না করে অন্যমনস্ক হয়েছ, আমার চেয়ে উত্তম আর কে আছে যে, তুমি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছ?

৩। (ক) যখন কোন বান্দা নামাযের নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে, তখন সাথে সাথেই তার সমস্ত গোনাহ (ছোট গোনাহ) এমনভাবে মাফ হয়ে যায়, যেন সে এখনই মায়ের কোলে জন্ম নিয়েছে। (খ) যখন সে সানা পড়ে আউযু বিল্লাহ শেষ করে, তখন তার প্রতিটি পশমের বদলে একটি করে নেকী আল্লাহ তাআলা তাকে দান করেন। (গ) যখন সে সূরা ফাতেহা শেষ করে তখন এক হজ্জ ও এক ওমরার সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। (ঘ) রুকুর তসবীহ শেষ হওয়া মাত্র সে সব আসমানী কিতাব তেলাওয়াতের সওয়াব পায়। (ঙ) তাহমীদ পড়া হলে আল্লাহ তাআলা সেই নামাযী বান্দার প্রতির রহমতের নজর করেন।

(চ) নামাযী যখন সেজদায় যায়, তখন আসমান-যমীনে যত জ্বিন-ইনসান আছে সে পরিমাণ সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। (ছ) সেজদায় যেয়ে ‘সোবহানা রাব্বিয়াল আলা’ পড়া শেষ করলে সে একটি গোলাম আযাদ করে দেয়ার সওয়াব পায়। (জ) নামাযী যখন নামায শেষ করে সালাম ফেরায়, তখনই তার জন্য নির্ধারিত বেহেশতের দুটি দরজা খুলে দেয়া হয়, যাতে সে যেকোন দরজা দিয়ে ইচ্ছানুযায়ী প্রবেশ করতে পারে। বন্ধুগণ! মাত্র এক রাকআত নামাযের উল্লেখিত সওয়াব নামাযী ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। অতএব, আপনারা দয়াময় আল্লাহ তাআলাকে ভুলে অস্থায়ী জগতে নিজেদের অমূল্য সময় নষ্ট করেছেন, আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলীন করে আখেরাতের সম্বল সংগ্রহ করুন।- (মাজালেসে সানিয়া, শরহে আরবাঈন)

৪। হযরত হাসান বসরী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে নামাযী ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তাআলা কতকগুলো খাস সম্মান নির্ধারিত করে রেখেছেন। যথাঃ (ক) নামাযী ব্যক্তি যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন তার পায়ের নীচ হতে আকাশ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতের মেঘে ভরে যায় এবং অসংখ্য নেকী বৃষ্টির মত তার উপর বর্ষিত হতে থাকে। (খ) নামাযী ব্যক্তির চতুর্দিকে ফেরেশতাগণ একত্র হয়ে তাকে ঘিরে থাকে। (গ) একজন ফেরেশতা নামাযীকে ডেকে বলে, হে বান্দা! তুমি যদি জানতে তোমার সামনে কে আছেন এবং নামাযের মধ্যে তুমি কার সাথে কথা বলছ, তবে খোদার কসম, কেয়ামত পর্যন্ত সালাম না ফিরিয়ে তুমি নামাযে মশগুল থাকতে। কেয়ামত পর্যন্ত সালাম না ফিরিয়ে তুমি নামাযে মদ্য

৫। কেয়ামতের মাঠে বিচার শেষে নামাযীকে তিন ভাগে বিভক্ত করে বেহেশতে যাবার আদেশ দেয়া হবে। প্রথম ভাগের লোকদের চেহারা সূর্যের আলোর মত উজ্জ্বল হবে। ফেরেশতাগণ বলবেনঃ আপনারা কারা? কোন্ নেক কাজের বদৌলতে আপনাদের চেহারা সূর্যের আলোর মত উজ্জ্বল হয়েছে? তদুত্তরে তারা বলবেন, আমরা মুসলমান। নামাযের হেফাযত করাই আমাদের প্রধান কাজ ছিল। ফেরেশতাগণ পুনরায় বলবেন; নামাযের হেফাযত কিরূপে করতেন? উত্তরে তারা বলবে আমরা নামাযের পূর্বেই নামাযের জন্য মসজিদে যেতাম।

দ্বিতীয় ভাগের লোকদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল হবে, তারা যখন পুলসেরাত পার হতে থাকবে, তখন পূর্বের ন্যায় ফেরেশতাগণ প্রশ্ন করবেন। তখন তারা উত্তর দেবেন,আমরা মুসলমান, দুনিয়াতে নামাযের হেফাযত করাই ছিল আমাদের কাজ। তখন ফেরেশতাগণ প্রশ্ন করবেন; আপনারা কিভাবে নামাযের হেফাযত করেছেন? তারা জবাব দেবেন; মোয়াজ্জনের আযানের পূর্বেই আমরা ওযু করে নামাযের অপেক্ষায় তৈরি থাকতাম এবং আযান শোনামাত্রই মসজিদে যেতাম ও নামায পড়তাম। তৃতীয় দলের চেহারা তারকার ন্যায় রওশন হবে। তাদেরও উক্তরূপ প্রশ্ন করা হলে তারা উত্তর দেবেন; আমরা মুসলমান, মোয়াজ্জিনের আযান শুনে ওযু করে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাযে শরীক হতাম। আর লক্ষ্য রাখতাম যাতে তাকবীরে উলা ছুটে না যায়।

৬|হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে ঃ

(১) নামাযই আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার প্রধান উপায়।

(২)নামায ফেরেশতাদের ভালবাসা লাভের উপায়।

(৩)নামায পূর্ববর্তী নবীদের তরীকা।

(৪) নামায মারেফাতে এলাহীর মশাল।

(৫) নামায ইসলামের মূল।

(৬) নামায দোআ কবুলের উসিলা।

(৭)নামায ব্যতীত, কোন নেক কাজ খোদার নিকট কবুল হয় না।

(৮)নামাযের কারণে রুজীতে বরকত আসে।

(৯) নামাযই নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হাতিয়ার।

(১০) নামায নামাযীর মৃত্যুর সময়ে শান্তির সাথে জান বে’র করার জন্য মালাকুল মউতের নিকট অনুরোধ করে।

(১১) নামায মুমিনদের আত্মার নূর।

(১২) নামাযের কারণে মুমিনদের কবর আলোকিত হয়।

(১৩ নামায নামাযীর পক্ষে মোনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব দেবে।

(১৪) নামায কেয়ামত পর্যন্ত সঙ্গে থেকে নামাযীর প্রতি তার সমবেদনা প্রকাশ করবে।

(১৫) নামায কেয়ামতের মাঠে নামাযীর মাথার উপর ছায়া দেবে।

(১৬) নামায নামাযী ব্যক্তির শরীরের পোশাক ও মাথার টুপি হবে।

(১৭) নামাযের ওজন সমস্ত পাপের ওজন অপেক্ষা ভারী হবে।

(১৮) নামায পুলসেরাত পার হওয়ার ছাড়পত্রস্বরূপ।

(১৯) নামায বেহেশতের চাবি। এটা বেহেশতের দরজা খুলে নামাযীকে তথায় প্রবেশ করাবে।