ঘরে বসে মেয়েরা সহজে কিভাবে ইনকাম করবে?
প্রযুক্তি অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দিন দিন, প্রযুক্তির কারণে আমাদের সবকিছুই প্রায় হাতের মুঠোয়। তাই ঘরে বসেই আজকাল ইনকাম করা যায় খুব সহজে। কিভাবে মেয়েরা ঘরে বসে আয় করবে সেটা নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে চাকরির জন্য এখন আর অফিসে যেতে হয় না অফিসের কাজ গুলো ঘরে বসেই করা যায়।
ইন্টারনেট সংযোগ, ল্যাপটপ বা পিসি দিয়ে বিভিন্ন উপায় ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা সুবিধাজনক। এতে করে বাইরে বের হতে হয় না সময়ের অপচয় হয় না। সবদিক থেকে মোটামুটি ভালো একটা সুযোগ। থাকে ঘরে বসে কাজ করলে পরিবারের মানুষগুলোকেও সময় দেওয়া যায় এবং সংসারের কাজের পাশাপাশি টাকা উপার্জন করা যায়।
এটা মেয়েদের জন্য খুবই সুবিধাজনক যারা গৃহিণী তারা আসলে ঘর সামলে বাচ্চা সামলে অফিসে যেয়ে চাকরি করা অনেক সময়ই সম্ভব হয় না কিন্তু যদি অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করা যায় টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে সেটা গৃহিণীদের জন্য খুবই ভালো একটা সুযোগ। যাই হোক আমরা আজকে আলোচনা করব কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার প্রচুর অপশন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে আমরা কিছু লাভজনক ইনকাম সোর্স নিয়ে আলোচনা করব।
কি কি লক্ষন দেখা দিলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতি
হাদিস অনুযায়ি স্বপ্নের ব্যাখ্যা
১. অনলাইন টিউটর
মেয়েরা ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে সহজ একটা উপায়। আর আজকাল সবার হাতেই মোটামুটি ইন্টারনেট আছে স্মার্ট ফোন আছে সুতরাং চাইলেই ঘরে বসে শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায়। এতে করে ছাত্র-শিক্ষক দুজনেরই সময়ের অপচয় হয় না এবং শিক্ষকের বা ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের খরচটাও বেঁচে যায়। এটা বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটা শিক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মত সময় নির্বাচন করা সহজ হয়। তারা তাদের পছন্দমতো সময়ে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে তাই এটা বর্তমানে জনপ্রিয়। দিন দিন অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার চাহিদা বা জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে তাই চাইলে যেকোনো মেয়ে ঘরে বসে এই পেশায় নিযুক্ত হতে পারেন। এটা পদ্ধতিতে ইনকামের জন্য কোনো টাকা বিনিয়োগ করতে না বলে একজন বেকার মানুষ সহজে এ কাজটি করতে পারে।প্রোয়োজন হয় শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা।
২. বেকারি ব্যবসা
বেকারি ব্যবসা আরো একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। দিন দিন অনলাইনে বেকারির ব্যবসা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকাল অনেকেই জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী বা বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় অনুষ্ঠানের জন্য অনলাইনে কেক, পেস্ট্রি, চকলেট তারপর খাবার অর্ডার করে থাকেন। সুতরাং বেকারির ব্যবসা করে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় আর এটা হচ্ছে মেয়েদের জন্য অনেক নিরাপদ একটা ব্যবসা।
আর এই ব্যবসার জন্য খুব একটা বেশি বিনিয়োগ করতে হয়না স্বল্প পুঁজি দিয়েই বেকারির ব্যবসা করা যায়। বেকারি ব্যবসার জন্য pre-order বা বুকিং নেওয়ার সময় অ্যাডভান্স কিছু টাকা নিয়ে নিতে হয় এক্ষেত্রে অর্ডার ক্যানসেল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে আর তাছাড়া নিজের তেমন কোনো বিনিয়োগ করতে হয় না। অল্প বিনিয়োগ করেই এই ব্যবসা করা যায়। আপনাদের যাদের রান্নার হাত ভালো বা বিভিন্ন ধরনের বেকিং কোর্স করা আছে তারা ঘরে বসেই এইসব আইটেমগুলো বানাতে পারেন এবং ডেলিভারি করে ইনকাম করতে পারেন আর যাদের কোন ধরনের বেকিং কোর্স করার নাই তারা চাইলে কোর্স করেও এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রাণির ঔষধিগুন সম্পর্কে জানুন
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়ে দিবে গুগল
৩.ব্লগিং
ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের আরো একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখা। যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে বা যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তারা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারেন যেমন হচ্ছে লাইফস্টাইল, মুভি, কসমেটিকস, সাজসজ্জা, ফ্যাশন ফুড, আরো বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে লেখালেখি করে পোস্ট করে ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায় যেমন হচ্ছে ইনস্টাগ্রম মারকেটিং ইউটিউব মার্কেটিং ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি। আজকাল প্রায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসাকে প্রসারিত করতে চায় সেজন্য তাদের প্রয়োজন হয় মার্কেটিংয়ের। যারা ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন তাদের অনেকেরই নিজেদের হাতে সময় থাকে না মার্কেটিং করার জন্য। তখন তারা তাদের ব্যবসায়ের মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপনের জন্য মার্কেটার হায়ার করে থাকেন তাই ডিজিটাল মার্কেটিং করেও আজকাল ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও নিজে ওয়েবসাইট তৈরী করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে বা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন।
৪.কনটেন্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে আমরা বাস করছি ডিজিটাল যুগে এই যুগে মানুষ ছোট-বড় যে কোন বিষয়ে জানার জন্য ইন্টারনেট বা গুগোল ঘাটাঘাটি করেন। এক্ষেত্রে যাদের ওয়েবসাইট আছে বা যারা গুগল এডসেন্স এর কাজ করেন তাদের কনটেন্ট রাইটার এর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও অনেক কোম্পানি আছে যাদের ওয়েবসাইটগুলো বিনোদনভিত্তিক বা একাডেমিক সে ক্ষেত্রে তারা লেখালেখির জন্য কনটেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকেন।
সুতরাং আপনারা যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখালেখি করে বা কনটেন্ট লিখেও মাসে 15000 টাকার মত ইনকাম করতে পারেন। ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করলে অনেক ধরনের ফ্রীলান্স কনটেন্ট রাইটিং প্রজেক্ট সাইট পাওয়া যাবে সেখানে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী টপিক নিয়ে কন্টেন্ট লিখে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি টাকা রোজগার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা বা যেকোন আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে লেখা যায় লেখার হাত ভাল থাকলে মাসে ১৫০০০-২০০০০ টাকা ইনকাম করা ব্যাপার না। এছাড়াও রিজিউম রাইটিং, ক্রিয়েটিভ রাইটিং এগুলো করেও আজকাল অনেকে ইনকাম করছেন।
কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন আপনার কম্পিউটার
৫.ডাটা এন্ট্রি
বর্তমান সময়ে ইন্টারন্যাশনাল বা ন্যাশনাল প্রায় সব কোম্পানিরই ডাটা এন্ট্রি কাজ করার প্রয়োজন পড়ে। এমন অনেক কোম্পানি আছে যাদের কিছু ব্যক্তির প্রয়োজন হয় যারা তাদের ডাটাগুলো এন্টি করবে।ডাটা এন্ট্রির কাজ দিন দিন বেড়েই চলছে আর এক্ষেত্রে ঘরে বসে ইনকাম করার একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে তাদের অফিসিয়াল প্রতিদিন যে কাজ গুলো হয় সেগুলো কে লিখিত করা এবং সেই লিখিত তথ্যকে ইলেকট্রনিক ফরমেটে ট্রান্সফার করা।
আর এই কাজ করার জন্য আপনাকে অফিসে যেতে হবে না ঘরে বসেই ল্যাপটপ বা পিসি মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই এই কাজ করা যায়। যাদের টাইপিং স্পিড ভালো মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড কাজ করতে পারদর্শী তারা চাইলে ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রির কাজ করে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী তাদেরকে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন।
৬.টিফিন সার্ভিস
যেসব মহিলাদের রান্নাবান্নার অভিজ্ঞতা ভালো বা যারা খুব ভালো রান্না পারেন তারা এই গুণটিকে ঘরে বসে কাজে লাগাতে পারেন। তারা ঘরে বসেই খুব স্বল্প পুঁজিতে টিফিন সার্ভিস এর বিজনেস শুরু করে উপার্জন করতে পারেন। যদিও দৈনিক কাজকর্ম সামলেই ব্যবসা পরিচালনা করতে প্রথম প্রথম হয়ত হিমশিম খেতে হবে কিন্তু টাইম ম্যানেজ করতে পারলে, ব্যবসার কলাকৌশল শিখে যেতে পারলে তখন আর খুব একটা ঝামেলা হবে না।
তাই বিভিন্ন ধরনের টিফিন আইটেম রান্না করে ডেলিভারি করে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় এই ব্যবসাটা খুবই লাভজনক আজকাল প্রায় কমবেশি সবাই আছে চাকরী করছেন না হয় ব্যবসা করছেন। তাদের নিয়মিত খাবার রান্না বান্না করার সময় হয় না আবার অনেকেই রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করে খেতেও পছন্দ করেন না। অনেকেই চায় ঘরোয়া পরিবেশের খাবার খেতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে। সে ক্ষেত্রে যাদের সময়ের অভাবে রান্না করার সুযোগ হয় না তাদের বাড়িতে তৈরি করা খাবার আপনি পৌঁছে দিতে পারেন। ছোটখাটো সাপ্তাহিক অফার দিয়ে বা স্পেশাল কোনো অকেশনে বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে খাবার রান্না করে আপনি আপনার ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে পারেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশে বর্তমানে কিছু ফুড সার্ভিসিং এ্যাপ রয়েছে সেই সার্ভিসিং এ্যাপ এর সাথে যোগাযোগ করে আপনি আপনার এই ব্যবসাটা সম্প্রসারণ করতে পারেন।
৭.ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
অ্যাসিস্ট্যান্ট হল একজন পেশাদার যিনি ছোট বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা অফিসের কাজগুলো পরিচালনা কারীদের সাহায্য করে থাকেন। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের ধরন বা প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে তার ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তার উপর। আপনি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ হোন বা আপনার যে বিষয়ে ভালো স্কিল আছে আপনি সেই স্কিল অনুযায়ী ক্লায়েন্ট খুঁজে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারেন।
এক এক ধরনের ক্লায়েন্টের এক এক রকম ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। কারো হচ্ছে মিটিং শিডিউল বানানো বা হচ্ছে ফোন রিসিভ করা, ইমেইল সেন্ড করা,ডাটা এন্ট্রি করা বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যে বিষয়টা ভালো পারেন সে বিষয়ে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ঘরের বাইরে যেতে হবেনা আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন এবং বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে নিজের সময় অনুযায়ী নিজের টাইম সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে দেওয়া যায়।
৮.গ্রাফিক ডিজাইন
বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। ছোট-বড় প্রায় প্রত্যেক কোম্পানিই আজকাল প্রায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল। যখনই সোশ্যাল মিডিয়ার কথা আসছে তখনই গ্রাফিক ডিজাইনে প্রসঙ্গ আসছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ডিজাইনের। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন এর জন্যই না এছাড়াও লোগো ডিজাইন টি-শার্ট ডিজাইন তারপর ব্যানার তৈরি এগুলোর জন্য গ্রাফিক ডিজাইনারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সহজেই আপনি চাইলে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এসব সফটওয়্যার দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন।
এগুলো জন্য অনলাইনে ঘরে বসেই করা সম্ভব তবে গ্রাফিক ডিজাইন এর পাশাপাশি আজকাল অনেকেই ওয়েব ডিজাইনের কাজ করছেন। ওয়েব ডিজাইন মূলত হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন, আজকাল মোটামুটি ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের ওয়েবসাইট থাকে তারা তাদের ব্যবসায় প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন আর ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য তাদের প্রয়োজন হয় একজন ওয়েব ডিজাইনারের। সুতরাং ঘরে বসে সহজে ইনকাম করে নিতে পারেন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
৯.ইউটিউব
ইউটিউবের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। ইউটিউব হলো এমন একটি সাইট যেটাকে গুগল দ্বারা পরিচালনা করা হয়। একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিজের বানানো ভিডিও কনটেন্ট গুলো আপলোড করে মনিটাইজ করে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারেন। আজকাল অনেকেই আছেন শুধুমাত্র ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর চ্যানেলের মনিটাইজ হবে সাবস্ক্রাইবার বাড়বে তখন আপনার ইনকাম আসবে। সুতরাং ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে মনিটাইজ করে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারেন।
১০. ফেইসবুক
ফেসবুক হল বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। ফেসবুকে মোটামুটি আজকাল সবারই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আপনি ফেসবুকে টাইমলাইনে অন্যদের ছবি দেখে যে সময়টা নষ্ট করছেন সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য প্রচার করে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। ফেইসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনি আপনার পন্যের প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকের পেইজ ফলোয়ার বাড়িয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুক মনিটাইজ করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
সুতরাং মেয়েদের আজকাল আয় করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয় না ঘরে বসেই তারা তাদের সময়কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। এমন একটা সময় ছিল যখন কারো হাতে ইন্টারনেট ছিল না মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর ছিল না তখনকার সময়ে বাইরের যেয়ে বা অফিসে যেয়ে মহিলাদের অনেক কষ্ট করে ইনকাম করতে হতো। সময়ে সাথে এসেছে পরিবর্তন তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠুন।