গর্ভের লক্ষ্মণগুলো

মা হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটা মেয়েরই থাকে, কিন্তু শুরুর দিকে অনেকেই বুঝতে পারে না যে সে মা হতে চলেছে ।গর্ভের লক্ষ্মণগুলো যারা আগে মা হয়েছেন বা পূর্বে মা হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা অনেকেই কিছুটা আন্দাজ করতে পারেন কিন্তু যারা নতুন মা হবেন তাদের ক্ষেত্রে অনেকেই বুঝতে পারে না যে তারা মা হবে। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনি মা হচ্ছেন আর এই গর্ভের লক্ষ্মণগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। ডাক্তারি চিকিৎসা ছাড়াও বা কোন টেস্ট ছাড়াও আপনি শুরুর দিকে কিভাবে বুঝতে পারবেন মা হচ্ছেন কি কি লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা যাবে সেই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব চলুন জেনে নেই গর্ভের লক্ষ্মণগুলো।

হাদিস অনুযায়ী স্বপ্নের ব্যাখ্যা
প্রাণির ওষধি গুনাগুন ও উপকারিতা
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়ে দিবে গুগল

গর্ভের সময় কি কি লক্ষণ দেখা যায়

গর্ভাবস্থা প্রারম্ভিক লক্ষণ “আমার এক বান্ধবী আমাকে বলেছে যে, প্রেগন্যাসী টেস্ট করানোর আগেই ও নিজের গর্ভাবস্থার ব্যাপারে জানত। আমিও কি এই ভাবে আগে থেকে জানতে পারি ?”এর সব থেকে সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে এটা যে, আপনার প্রেগন্যান্সী টেস্ট পোজিটিভ আসুক। একমাত্র তখনই এটা জানতে পারা যাবে যে, আপনি মা হতে চলেছেন কি না? বেশ কিছু মহিলা বেশ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত নিজেদের গর্ভের লক্ষ্মণগুলো ব্যাপারে জানতে পারেন না।আর কিছু মহিলা আগে থেকেই এটা জানতে পেরে যান যে, তাঁরা মা হতে চলেছেন। আপনিও যদি এমন গর্ভের লক্ষ্মণগুলো অনুভব করেন, তাহলে আর দেরী না করে এখুনি হোম প্রেগন্যান্সী কিট নিয়ে আসুন। এটা যে কোন ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।

নরম বক্ষস্হল এবং স্তনবৃন্ত

আপনারা এটা নিশ্চয়ই জানেন যে, পীরিয়ডের আগে বক্ষস্হল স্পর্শ করলেও কেমন যন্ত্রণা হয় ? গর্ভধারণের আগে বক্ষস্হল যথেষ্ট নরম হয়ে পড়ে। অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রে হাল্কা সংবেদনশীল, ভরা- ভরা, স্পর্শ করলে যন্ত্রণা হতে থাকা বক্ষস্হল গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। এক বার গর্ভাবস্থা শুরু হয়ে পড়লে বক্ষস্হলের আকারে পরিবর্তন আসার সাথে সাথে আরও বেশ কয়েক প্রকারের পরিবর্তন আসে।

নাগ্রের গাঢ় ভাব

স্তনবৃন্তের আশপাশের কালো অংশ আরও গাঢ় হয়ে উঠতে লাগে। গভবিহার সময় এমনটা হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিকই হয়। এই সময় স্তনের আকারও বেড়ে ওঠে স্তর প্রতি দিন বাড়ে। ত্বকের রং-য়ে পরিবর্তন আসার অর্থ হচ্ছে এই যে, আপনার শরীরে প্রেগন্যাসী হামোর্স নিজের কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।

ঢেঁকুর আসা বা বমি হওয়া

প্রথম তিন মাসে ঢেঁকুর আসার কারণেও আপনাকে বার বার বাথরুমে যেতে হতে পারে। গর্ভধারণের তৎক্ষনাত পরে, অনেক মহিলাদের ঢেঁকুর আর বমি (মণিং সিকনেস) আসার অভিযোগ হয়ে পড়ে। এমনিতে এমনটা সাধারণতঃ ষষ্ঠ সপ্তাহের আশপাশে শুরু হয়। গুজ বম্প ? :- না, সত্যি নয়… কিন্তু স্তনবৃন্তের আশপাশের গাঢ় এলাকা হাল্কা ফুলে ওঠে (মটগুমরী টিউবরকন্স) আসলে এটা সেই গ্রহি হয়, যেগুলো তেলের স্রাব করে আর আপনার স্তনবৃন্তের আশপাশের অংশকে তৈলাক্ত করে তোলে। এসব হচ্ছে এই জিনিসটার ইঙ্গিত যে, এবার আপনাকে নিজের শিশুকে স্তনপান করাতে হবে। আপনার শরীর আগত সময়ের জন্য নিজেকে প্রস্ত্তত করছে।যখন ভ্রুণ গর্ভাশয়ে নিজের জায়গা তৈরী করে, তখন অনেক মহিলাদের হাল্কা স্রাব হতে থাকে। এমনটা আপনার পীরিয়ডের কয়েক দিন আগে হতে পারে… এই স্রাবের রং হাল্কা গোলাপী (লাল নয়) হয়।

নাসার রোবট ইনসাইট এর বিদায়
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য ফ্রী অ্যাপস
গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা

নতুন গর্ভবতী মহিলাদের শোঁকার ক্ষমতা যথেষ্ট সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাঁরা প্রতিটি ভালো-খারাপ গন্ধের ব্যাপারে অত্যন্ত দ্রুত জানতে পেরে যান।খাবারে অনীহা দেখা দেয় কোন খাবার খেতে ভালো লাগে না গন্ধ লাগে।

ফোলা বা ফ্লোটিং

এমনটা মনে হতে থাকে যে, আপনার পেটের ভেতরে কিছু একটা ফুলছে ! যদিও পরে শিশুর কারণে আপনার পেট তো ফুলে উঠবেই… কিন্তু শুরুতে সেটার হাল্কা অনুভূতি হতে থাকে।

তাপমাত্রা বেড়ে ওঠা 

‘ব্যাসল বডি টেম্পারেচার’! আপনি যদি বিশেষ ব্যাসল বড়ি থামোমিটার দিয়ে আপনার শরীরের সকালের তাপমাত্রা মাপেন, তাহলে আপনি এটা জানতে পারবেন যে, আপনার শরীরের তাপমাত্রা 1 ডিগ্রী বেড়ে উঠেছে। এমনটা গর্ভাবস্থার সময় হতেই থাকে। যদিও এটা কোন পাক্কা সংকেত নয়… কিন্তু এই ছোট্ট সংকেত সেই বড় খবরের ব্যাপারে অনুমান অবশ্য প্রদান করে।

ক্লান্তি

আপনি এতটা ক্লান্তি অনুভব করেন যে, আপনার পুরো শরীর ভেঙে পড়ে। সমস্ত প্রাণশক্তি শেষ হয়ে পড়ে আর পুরো শরীরে অলসতা ছেয়ে যায়। এর অর্থ হচ্ছে এই যে, আপনার শরীর আগত সময়ের জন্য তৈরী হচ্ছে।

পীরিয়ড না হওয়া 

যদি এর আগে সর্বদা আপনার পীরিয়ড সঠিক সময়ে হয়ে এসে থাকে আর এবার না হয়, তাহলে প্রেগন্যাসী টেস্ট করার আগেই গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারে অনুমান লাগানো যেতে পারে।বার-বার প্রস্রাব করার ইচ্ছা হয় ?গর্ভধারণের 2-3 সপ্তাহ পরে আপনার  এমন মনে হবে। আপনি এই আলোচনায়  গর্ভাবস্থার ব্যাপারে জানাতে পারবেন।এমনটা হওয়ার কারণ জানতে পারবেন।“আমি এই ব্যাপারে পাক্কা কি করে জানতে পারব যে, আমি গর্ভবতী কি না ?”

সবার আগে তো নিজের মনের কথা শুনুন। এর থেকেই আপনার একটু একটু অনুমান হয়ে পড়বে। এমনিতে সঠিক ভাবে জানার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান তো রয়েছেই! আজকাল বেশ কিছু টেস্ট দ্বারা এটা জানতে পারা যায় যে, আপনি সত্যি-সত্যি গর্ভবতী কি না ? অনেক ডাক্তার রক্তের সাথে সাথে প্রস্রাব পরীক্ষা করার নির্দেশও দিয়ে থাকেন।

হোম প্রেগন্যাসী টেস্ট

হোম প্রেগন্যান্সী কিট দিয়ে বাসায় পরীক্ষা করুন এটা যে কোন ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।পরীক্ষা করার জন্য প্যাকেটের পেছনে দেওয়া নিজের প্রেগন্যাসী টেষ্টের সংবেদনশীলতা মাপ আর মাত্রা ভালো করে পড়ুন। এতে ইন্টাপ্যাশনাল ইউনিটে মিলি লিটারের মাত্রা যত মিলি-র পরিবর্তে 20 মিলি-র টেস্ট আপনাকে কম হবে… টেস্ট ততই সংবেদনশীল হবে। 50 দামী টেস্ট বেশী সংবেদনশীল হয়। দ্রুত আর ভালো ফল প্রদান করতে পারে। কিছু টেস্টও আছে… যেগুলো আপনি পীরিয়ড যোনি আর সার্ভিক্সের রং বা সার্ভিক্সের গঠন দেখেও বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কিনা।

গর্ভাবস্থায় এইচ.সি.জি.-র পরীক্ষা

প্রস্রাবে এইচ.সি.জি. হার্মোনের পরীক্ষা হয়… যেটা প্লেসেটা তৈরী করে। এটা আপনার রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যায়। প্রস্রাবে এটার পরীক্ষা হতেই আপনি পোজিটিভ ফল পেয়ে যাবেন। এটা সংবেদনশীল তো হয়… তবে ততটা নয়! গর্ভধারণের এক সপ্তাহ পরে আপনার রক্তে এইচ.সি.জি. তো থাকে… কিন্তু টেস্টে সেটা জানতে পারা যায় না। আপনি যদি পীরিয়ডের সাত দিন আগেও পরীক্ষা করেন… তাহলে গভাবস্হা থাকলেও নেগেটিভ রেজাল্টই আসবে। যদি পীরিয়ডের 4 দিন আগে পরীক্ষা করেন, তাহলে 60 শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। পীরিয়ডের দিন পরীক্ষা করলে 90 শতাংশ সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে আর এক সপ্তাহ পরে সেটা 97 শতাংশ হয়ে পড়বে।যেমন-যেমন সময় বেড়ে চলবে… রেজাল্ট ততটাই পরিস্কার আর স্পষ্ট হতে থাকবে। যেহেতু আপনি এই টেস্ট দ্বারা নিজের গভবিস্হার ব্যাপারে আগে থেকেই আন্দাজ পেয়ে গেছেন, তাই আপনি আগে থেকেই ডাক্তার বা দাই-য়ের পরামর্শ নিয়ে নিজের পুরো দেখাশোনা শুরু করে দিতে পারেন। অবশ্য এর পরে ডাক্তারী পরীক্ষা রয়েছে। সকল প্রকারের টেস্ট,গর্ভের লক্ষ্মণগুলো আর রক্ত পরীক্ষা দ্বারা সব কিছু পাকাপাকি ভাবে জানতে পারা যাবে।

রক্ত পরীক্ষা 

গর্ভধারণের এক সপ্তাহ পরে যদি রক্ত পরীক্ষা করানো হয়, তাহলে সেটার থেকে 100 শতাংশ জানা যেতে পারে যে, আপনি গর্ভবতী কি না! এতে রক্তে এইচ.সি.জি.-র সঠিক মাত্রা আর স্তরের অনুমান লাগানো যেতে পারে। আর গর্ভাবস্থার তারিখও বলা যেতে পারে… কারণ গর্ভাবস্থা বেড়ে ওঠার সাথে- এক হাল্কা রেখা “আমি যখন বাড়ীতে হোম প্রেগন্যান্সী টেস্ট করাই, তখন তাতে কেবলমাত্র একটা হাল্কা রেখা দেখতে পাওয়া গেছিল। আমি কি গর্ভবতী ?” আপনার রক্ত বা প্রস্রাবে এইচ.সি.জি.-র স্তর দেখার পরেই এই টেস্টে পোজিটিভ রেজাল্ট আসে। এটা আপনার শরীরে তখন তৈরী হয়, যখন আপনি গর্ভবতী হয়ে ওঠেন। টেস্টে এক হাল্কা রেখা দেখতে পাওয়া গেলেও এটা নিশ্চিত যে, আপনি গর্ভবতী ! আপনি গাঢ় রেখার জায়গায় হাল্কা রেখা এজন্য দেখতে পেয়েছেন… কারণ আপনি যেসব টেস্ট করাচ্ছেন, সেগুলো সংবেদনশীলতার স্তরে আলাদা-আলাদা হয়। 

 এটাও দেখতে হয় যে, গর্ভধারণ করার পরে কতটা সময় কেটে গিয়েছে ! আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করান, তাহলে টেস্টে এইচ.সি.জি.-র হাল্কা সংকেতই দেখতে পাওয়া যাবে। 

গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ থাকার জন্য অনাগত সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়ম মেনে চলুন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলন সুস্থ থাকুন এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে মাতৃত্বকালীন সময়ে হোক সুন্দর হাসিখুশি নিরাপদ থাকুক এবং বাচ্চা।