খুব তাড়াতাড়ি আপনার পরিবারে এক ছোট্ট অতিথি আসতে চলেছে বা আপনার সন্তান ভাই বা বোন পেতে চলেছে। আপনার পরিবারে শিশুর পদশব্দ শুনতে পাওয়ার আগে আপনাকে কিছু জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে আপনি এবং আপনার পরিবারে আসতে থাকা শিশু সম্পূর্ণ রূপে সুস্হ থাকে।আমাদের দেওয়া এই সব পরামর্শের সহায়তায় আপনি এবং আপনার পতিদের ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের পূর্ণ রূপে প্রস্ত্তত করে তুলতে পারবেন।আপনি যদি এখনও পর্যন্ত গর্ভবতী না হন, তাহলে কোন ব্যাপার নয়, চেষ্টা চালিয়ে যান আর আপনি যদি ইতিমধ্যেই সুখবর পেয়ে গিয়ে থাকেন।এ আলচনা হলো সেসব মায়েদের জন্য, যাঁরা গর্ভধারণ করতে চান। গর্ভের সময় মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
এক ছোট্ট অতিথি আপনার ঘরে আসার জন্য অস্হির হয়ে রয়েছে,কিন্তু তাকে আমন্ত্রণ জানানোর আগে আপনাকে এই সব ছোট ছোটজিনিষগুলোর ওপরে দৃষ্টি দিতে হবে।
আমলের জন্য দুরুদ শরীফ
শবে কদর এর নামাযের গুরুত্ব
তাহাজ্জুদ নামাযের ফযিলত
গর্ভধারণ করার আগে পরীক্ষা
যদিও আপনার প্রসবপূর্ব দেখাশোনা করার কোন ডাক্তারের প্রয়োজন নেই।আপনাকে নিজের জন্য কোন দাই, মিডওয়াইফ বা প্রীন্যাটাল ডাক্তারের সন্ধান শুরু করে দিতে হবে। যদিও সঙ্গে দেখা করতে পারেন, যাঁকে দিয়ে আপনি আপনি এখনও গর্ভবতী নন।কিন্তু ভবিষ্যতে যেগুলো গর্ভাবস্হায় আপনার খাওয়া উচিত নয়।আপনার ওজন, আহার, খাওয়ার-দাওয়ারঅভ্যাস, জীবন-শৈলী এবং টীকাকরণ ইত্যাদিবিষয়ের ওপরে তাঁর মতামত গ্রহণ করুন।নিয়মিত পরীক্ষাগুলো করিয়ে এসেছেন। এই সব পরীক্ষা দ্বারা ব্যক্তির ডাক্তারী অভাবগুলোর ব্যাপারে আগে থেকেই জানতে পারা যায় আর চিকিৎসাও সহজ হয়ে ওঠে। ডাক্তার আপনাকে সেই সব ওষুধের থেকে দূরে রাখতে পারবেন,আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। এজন্য আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করে রাখুন, মতামত নিয়ে রাখুন আর মনে মনে নিজের জন্য ডাক্তার নির্বাচন।
ডেন্টিষ্টের সঙ্গে দেখা করা
গর্ভবতী হয়ে ওঠার আগে এক বার ডেন্টিস্টের কাছে অবশ্যই যান,কারণ আপনার ভাবী গভবিস্হা দাঁত আর মাড়ির ওপরে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারে।গর্ভাবস্থায় হার্মোনের কারণে দাঁত আর মাড়ির কষ্ট বাড়তে পারে। বিভিন্ন অধ্যয়ণ থেকে এটাও জানতে পারা গেছে যে, গর্ভাবস্থায় জটিলতাগুলোর মধ্যে মাড়ির রোগও শামিল হয়ে থাকে। শিশুকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার আগে নিজে এক বার ডেন্টিস্টের কাছ থেকে ঘুরে আসুন। দাঁতের এক্স-রে, ফিলিং বা সাজারী ইত্যাদি করিয়ে নিন।কারণ গর্ভাবস্হা চলাকালীন এসব হতে পারবে না।
পরিবার-বৃক্ষের পরীক্ষা
আপনাকে নিজের ‘ফ্যামিলি ট্রী’-য়ের ওপরে এক দৃষ্টি দেওয়ার সাথে-সাথে পতিদেবের ‘ফ্যামিলি ট্রী’-কে দেখেও এটা জানতে হবে যে, দুই বংশে কোন রোগের ইতিহাস তো নেই ? এমন রোগের মধ্যে ডাউন সিন্ড্রোম,টে-শেক রোগ, সিকল সেল এনিমিয়া,থ্যালাসেমিয়া, হীমোফীলিয়া, সিষ্টিক ফাইবরোসিস বা ফ্রাগাইল এক্স সিন্ড্রোমের নাম নেওয়া যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় আগের তথ্য
আপনার প্রথম গর্ভাবস্থায় যদি কোন সমস্যা এসে থাকে, সময়ের আগে বা পরে প্রসব হয়েছিল বা একাধিক বার গর্ভপাত হয়ে পড়েছিল।তাহলে নিজের ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করুন, যাতে সেই সমস্যা আবার একবার দেখা না দেয়।প্রয়োজন হলে, জেনেটিক স্ক্রীনিং করান।যদি কোন সিষ্টিক আনুবংশিক রোগের ব্যাপারে জানতে পারা যায়, তাহলে ডাক্তারের থেকে জেনেটিক স্ক্রীনিং-য়ের ব্যাপারে পরামর্শ নিন।আগে বেশ কয়েক বার গর্ভপাত হওয়া, কোন রক্ত-সম্বন্ধীয়ের সাথে বিবাহ হওয়া, দীর্ঘদিন বাচ্ছা না হয়ার এসব বিসয়ে সমস্যা থাকলে পরামর্শ নিন।
রোযার গুরুত্ব ও ফযিলত
নিজের জন্য কিছু টেস্ট করানোর দরকার হবে সেগুলো হচ্ছে
এনিমিয়া পরীক্ষার জন্য হীমোগ্লোবিন বা হিম্যাটোক্রিট পরীক্ষা।আর. এইচ. ফ্যাক্টর এটা দেখার জন্য যে, আপনি পোজিটিভ না নেগেটিভ। আপনি নেগেটিভ হলে আপনার জীবনসঙ্গীর পরীক্ষা করানো হবে (দুজনের পরীক্ষাই নেগেটিভ এলে বেশী চিন্তা করার প্রয়োজন নেই)।‘রুবেলা টিটর’, রুবেলার পক্ষে প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য।‘ভ্যারিসেলা টিটর’, প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করা।
হেপাটাইটিস বি (আপনি যদি এর টীকা না নিয়ে থাকেন আর আপনি যদি কোন হেল্থ ওয়ার্কার হন)।সাইটোম্যাগালো ভায়রাস এ্যান্টীবডিজ পরীক্ষা। যাতে এটা জানতে পারা যায় যে, পরীক্ষা কি হল ? আপনি যদি এটার চিকিৎসা করিয়ে থাকেন, তাহলে তার 6 মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ করবেন না।টক্সোপ্লাজমোসিস টিটর, আপনার যদি কোন পোষা বেড়াল থাকে,যে বাইরে ঘুরে বেড়ায়, কাঁচা মাংস খায় বা আপনি যদি হাতে গ্লাভস্ না পরে বাগানের কাজ করেন।টীকা লাগানো থাকলে এই ব্যাপারে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর টীকা না লাগানো থাকলে সতর্কতা নিন।থায়রয়েড ফাংশন, এর দ্বারা গর্ভাবস্থায় প্রভাবিত হতে পারে। যদি আপনার বা পরিবারে কারো এই রোগ ছিল বা আপনিযদি এর লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে সেটার পরীক্ষা অবশ্যই করান।
সকল গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত রূপে যৌন রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া, কালমীডিয়া, হর্পিজ এইচ পিভি এবং এইচ.আই.ভি.)-য়ের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আপনি যতই এই সব রোগের প্রতি নিশ্চিন্ত থাকুন না কেন, এক বার পরীক্ষা অবশ্যই করান।
চিকিৎসা করান
যদি কোন পরীক্ষায় কিছু জানতে পারা যায়, তাহলে সেটার চিকিৎসা অবশ্যই করান। যে কোন ছোটখাটো সাজারী বা এমনই কোন চিকিৎসা যেটাকে আপনি এতদিন পর্যন্ত এড়িয়ে আসছিলেন, এবার করিয়ে নিন।এমনটা না হোক্ যে, সেটা আপনার গর্ভাবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করে তুলুক।
নিম্নলিখিত সমস্যা শামিল হতে পারে ,ফ়টেরাইন পোলিপ্স, ফির েডস্ সিষ্ট বা বেনিগ টিউমার।এণ্ডোমীট্রাওসিস (যথন গভাশয়ের আশপাশে অবস্হিত কোশিকাগুলো শরীরেরঅন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ে)। পেলভিক ইনফল্যামেট্রী রোগ। মূত্রাশয়ে বার বার হতে থাকা সংক্রমণ বা ব্যাক্টেরিয়াল ভ্যাজীনোসিস।
টীকাকরণ করুন
আপনি যদি গত 10 বছরের মধ্যে টিটেনাস-ডিপৃথিরীয়া বুস্টারের টীকা না লাগিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা লাগিয়ে নিন।(রুবেলা) মীজলস্, মামস্ আর রুবেয়ার টীকা না লাগিয়ে থাকলে সেগুলো লাগান।তারপর গর্ভধারণ করার জন্য এক মাস অপেক্ষা করুন।আপনি যদি ইতিমধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন, তাহলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনার হয়তো হেপাটাইটিস বি বা চিকেন পক্স হওয়ার কোন ভয় নেই, তবুও এখন সেগুলোর জন্য ব্যবস্হা নিন। আপনার বয়স 26 বছরের থেকে কম হলে আপনাকে এইচ.পি.ভি.-র তিনটি ডোজ নিতে হবে সেটার প্ল্যান বানিয়ে চলুন।
ক্রনিক রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনি যদি ডায়াবেটিজ, হাঁফানী, হৃদরোগ, মৃগী বা অন্য কোন ক্রনিক অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা রোগে গ্রস্ত হন, তাহলে গর্ভধারণ করার আগে নিজের সেই রোগের ওপরে নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করুন। নিজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা শুরু করুন। আপনি যদি জন্ম থেকে ‘ফিনাইলকীটোনফ্লরিয়া’-তে গ্রস্ত হন, তাহলে এখন থেকেই ফিনাইলেলেনিন যুক্ত আহার নেওয়া শুরু করে দিন আর সেটা গর্ভাবস্থায়তেও জারী করুন এমনটা আপনার আর আপনার শিশু – দুজনের স্বাস্থ্যের পক্ষেই ভালো হবে।
আপনার যদি এ্যালার্জী শটসের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে এখন থেকে সেগুলোর ওপরে দৃষ্টি দিন।অবসাদ আপনার প্রসন্নতায় ভরপুর গর্ভাবস্থায় বাধার সৃষ্টি করতে পারে এজন্য আগে থেকেই সেটার চিকিৎসা করিয়ে নিন।
বার্থ কন্ট্রোল বন্ধ করুন
কণ্ডোম আর ডায়ফ্রাগম সব ফেলে দিন (যদিও গর্ভাবস্থায় পরে আবার এক বার সেগুলোর প্রয়োজন হবে)। আপনি যদি বার্থ কন্ট্রোল পিল, ভ্যাজাইনাল রিং বা প্যাচ ব্যবহার করে আসছেন,তাহলে এই ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনাকে বেশ কয়েক মাস আগে থেকে এগুলো বন্ধ করতে হবে, যাতে প্রজনন তন্ত্র সঠিক ভাবে কাজ করতে থাকে আর দুটি মাসিক চক্র সঠিক পদ্ধতিতে এসে পড়ে (সেই সময় কণ্ডোম ব্যবহার করুন)। হতে পারে যে, আপনার মাসিক চক্র নিয়মিত হতে দুই-তিন মাস বা তার থেকেও বেশী সময় লাগতে পারে। আপনি যদি ‘আই.ইউ.ডি.’ লাগান, তাহলে সেটাকে বার করে দিন। ডেপোপ্রোভেরা বন্ধ করার পরে 6 মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অনেক মহিলা এটা বন্ধ করার পরে 10 মাস পর্যন্ত গর্ভবতী হতে পারেন না। আপনিও সেই হিসেবে প্ল্যান বানান।
আহারে উন্নতি
হতে পারে যে, আপনি এখন থেকে দুজনের জন্য আহার গ্রহণ করছেন না।কিন্তু ভালো অভ্যাস গ্রহণ করার করার জন্য দেরী করা কেন? আপনি নিজের ফোলিক এ্যাসিডের ডোজ নিতে ভুলে যাবেন না। এতে আপনার গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বেড়ে উঠবে।বিভিন্ন অধ্যয়ণ থেকে এটাও জানতে পারা গেছে যে, গর্ভধারণের আগে আহারে বেশী মাত্রায় এই ভিটামিন গ্রহণ করা গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ‘ন্যুরল টিউব ডিফেক্ট হওয়ার ঝুঁকি যথেষ্ট কমে আসে। এটা গোটা শস্য আর সবুজ পাতাওয়ালা সব্জী এবং রিফাইণ্ড শস্যে পাওয়া যায়… কিন্তু এটাকে আহারের রূপেই গ্রহণ করতে হবে। এই | এজন্য প্রয়োজন অনুসারে ক্যালোরীর মাত্রা কমান।
জাংক আর ফ্যাটযুক্ত ভোজনকে বিদায় জানান। ভোজনে ফল, সব্জী, কম ফ্যাটের ডেয়ারী পদার্থের মাত্রা বাড়ান। এখানে দেওয়া সন্তলিত আহার-যোজনার ওপরেও দৃষ্টি দিন। আপনাকে গর্ভধারণ করার আগে প্রতি দিন, দুই সার্ভিং প্রোটিন, তিন সার্ভিং ক্যালশিয়াম আর হয় সার্ভিং গোটা শস্য নিতে হবে। এর মধ্যে আপনার ক্যালোরীর মাত্রা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। মাছের ব্যাপারেও দেওয়া তথ্যের ওপরে দৃষ্টি |দিন কিন্তু সেটা খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না,কারণ এতে যথেষ্ট মাত্রায় পোষক তত্ত্ব পাওয়া যায়৷
যদি খাওয়া-দাওয়ার কিছু অভ্যাস (উপবাস রাখা, এনোরেক্সিয়া নবস, বুলীমিয়া, বিশেষ আহার) আপনার গর্ভাবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করে,তাহলে সেই ব্যাপারে আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।অত্যন্ত কড়া আর অসন্তুলিত ডায়েটিং আপনার ক্ষতি করতে পারে। যদি কড়া ডায়েটিং হয়ে পড়ে, তাহলে এবার সন্তুলিত ভোজন নেওয়া শুরু করে দিন।
প্রসবের আগে ভিটামিনের সেবন করুন
ভোজনে ভরপুর মাত্রায় ফোলিক এ্যাসিড শামিল করা সত্ত্বেও আপনার গর্ভধারণ করার দু মাস আগে থেকে প্রীন্যাটাল পূরকের রূপে 400 এমজি-র ডোজ নেওয়া উচিত। এমনটা করার অনেক প্রকারের লাভ থাকে। বিভিন্ন অধ্যয়ণ থেকে এটা জানতে পারা গেছে যে, যেসব মহিলা গর্ভধারণ করার আগে বা গর্ভধারণের প্রারম্ভিক সপ্তাহগুলোয় মাল্টি ভিটামিনের ডোজ নেন, তাঁদের বমি হওয়া বা গা গুলোনোর মত অভিযোগ হয় না। এতে 15 এমজি জিংকের মাত্রাও থাকা যার ফলে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যদিও প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু পোষক তত্ত্বের মাত্রা ক্ষতিও করতে পারে এজন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই এগানো উচিত।
ওজনের পরীক্ষা
ওজন কম বা বেশী হওয়া এই দুটো অবস্হাই গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই গর্ভধারণ করে নিয়ে থাকেন, তাহলে গর্ভাবস্থায় বেশ কয়েক প্রকারের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আপনার দিনচর্যায় ব্যায়াম শামিল থাকলে সেটা আপনার পক্ষে ভালোই হবে। আপনার মাংসপেশীগুলো নমনীয় আর মজবুত হয়ে উঠবে। ফালতু ওজনও কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়াম করতেও কমে আসবে। ওয়ার্কআউট করার সময় নিজেকে শান্ত রাখুন। হট টাব, সাউনা, হীটিং প্যাড আর
ইলেকট্রিক কেবলের অধিক ব্যবহার করবেন না।
মেডিক্যাল ক্যাবিনেটের পরীক্ষা
কিছু ওষুধ এমনও হয়, যেগুলো গর্ভাবস্থায় আগে বা গর্ভাবস্থায় সময় সেবন করাটা বিপজ্জনক হতে পারে। আপনিও যদি নিয়মিত রূপে বা কখনো-কখনো কোন ওষুধের সেবন করছেন, তাহলে সেই ব্যাপারে নিজের ডাক্তারের পরামর্শ নিন।যদি এমন কোন ওষুধ সেবন করতে হয়, তাহলে এটাই হচ্ছে সেটার বিকল্প খোঁজার সঠিক সময়।এমনিতে তো হার্বাল বা বৈকল্পিক ঔষধিকে প্রাকৃতিক মানা হয়ে থাকে,কিন্তু সেটার অর্থএটা নয় যে, সেগুলো সুরক্ষিত হবেই। বেশ কিছু হার্বাল ঔষধি (গিকঙ্গো বিলোবা) গর্ভধারণে বাধা হয়ে উঠতে পারে। এমন কোন ওষুধেরসেবন করার আগে কোন হার্বাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং তাঁকে নিজের আগত গর্ভাবস্থায় ব্যাপারে সংকেত দিন।
ক্যাফিনের মাত্রা
আমরা এমনটা বলছি না যে, আপনি ক্যাফিন যুক্ত পদার্থ সেবন করা একেবারে বন্ধ করে দিন। যেহেতু আপনি গর্ভবতী হওয়ার প্ল্যান বানাচ্ছেন বা ইতিমধ্যেই গর্ভাবস্থায়।
নিয়ম মেনে চলুন গর্ভ অবস্থায় সুস্থ থাকুন, আর বাচ্চাকেও সুস্থ রাখুন।